কাল কথা হয়েছিল মেয়েটার সাথে
বহুদূর হতে  
যখন আকাশটার পরনে ছিল নীল শাড়ী
অসহায় হয়ে চেয়েছিল ভগ্ন কোঠাবাড়ি
তখন হয়েছিল ক্ষণিকের আলাপন ।
জেগেছিল সেই ক্ষণ
নিগূঢ়ে পলাশের শাখে বনপায়রার ডাক,
জেগেছিল ধূলিমাখা শান্ত পথের বাঁক
যার তলে চাপা পড়ে আছে
কয়েকটা শপথের কঙ্কাল
সেই মেয়েটার ;
এই তো সেদিন
তবু মনে হয় কেটে গেছে কত কাল !
নিরব অশ্রুর ফোঁটা শুকিয়ে গেছে ধূলিপথে,
হয়তো দেখেনি সে বহুদূর হতে,
হয়তো শোনেনি এই জীবনের স্বপ্নভঙ্গের বিষাদ কাহিনী
হয়তো পড়েনি বিশীর্ণমান হৃদয়ের উষর জমিনে
ফলনের করুণ ইতিহাস,
অন্ধকারের দীর্ঘশ্বাস !
ইতিকার শেষ আলোকে বিদায় বেলা
একবার চেয়েছিল
তারপর হারিয়ে গেল,
ঘুমিয়ে গেল গোধূলি দিবারাত্রির সন্ধিক্ষণে ।
ঘুমিয়ে গেল নিরব ক্রন্দন,
অন্ধকারের আকাশ বুঝি ঢেকে দিল
জীবনের শেষ স্পন্দন,
অবশেষে ঘুমিয়ে গেল চেতনা
তারপর সব অন্ধকার.............
যখন চেতনা উঠছে জেগে
ভোরের আবছা আলোয়
তখনও দেখি জেগে আছে একটা উত্তুরের তারা,
মনে হয় সঙ্গীহারা আমার মতো শেষ রাতে.....
মনে আছে কাল কথা হয়েছিল মেয়েটার সাথে ।


রচনা : ১৪/১১/২০১৩