উঠোন ছাড়িয়ে আমছায়ে
একটা খড়ের পালুই  
ভেঙে যায় নিঃশ্বেষ হয়ে যায়
বরষার শেষে বারবার
শিশির ভেজা শীতে গড়ে উঠে আবার
স্মৃতির চাদরে মোড়া
একটা খড়ের পালুই ।
মনে পড়ে সারাটি দুপুর
দিদির সাথে খেলতাম তার পরে
সেই ছেলেবেলা
ক্লান্তি জড়িয়ে দিতাম এক ঘুম  
কোমল শান্তির বিছানায়  
কেটে যেত বেলা....
মায়ের ডাকাডাকি কত বকাবকি.....
দে এক ছুট......  
ইতিকা বেলার শেষে গোধূলি লগনে
শেষ আলোচ্ছটা ভরিয়ে দিত
পালুইয়ের বুক ।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখতাম
প্রতীক্ষীত অভিমানী মায়ের চোখের জল
আর জোছনায় মাখা পালুই ।
দেয়ালার রাতে মায়ের আঁচলে ঘুমিয়ে
আমি সেখানেই আছি......


তারপর কেটে গেছে কতদিন কতরাত.....
আজও দেখি দাঁড়িয়ে সন্মুখে
চেনা গন্ধ মেখে !
নিরব অশ্রু ঝরে পড়ে হাহাকারে,
আজ দিদিও নেই
চলে গেছে অন্যের ঘরে ।
আমি একাকি ছুঁয়ে যাই খড়ের পালুই
নিরবে ডেকে যায় বার বার......
শুধু স্মৃতি সব স্মৃতি
আর একমুঠো অন্ধকার ।


রচনা : ২২/১১/২০১৩