সেই মেয়েটাকে দেখিনা এখন
রিনিঝিনি সুরে বাজে না তো আর
কোমল পায়ের মধু সিঞ্চন ।
সেই হেঁটে গেছে কবে এই পথ ধরে,
অপেক্ষা ভরে আজও দাঁড়িয়ে থাকি
একাকি নিরবে, বয়ে যায় দখিনা বাতাস
এলোচুল তার উড়েছিল সেই কবে
আজও অনুভবে বাতাসে বাতাসে খুঁজে পাই তারে
হৃদয়ের ঘরে স্বপনে স্বপনে..
জানি না সে মুখ ঢেকে বসে আছে কোনখানে :
চার দেওয়ালের পৃথিবীতে নাকি দিগন্তের কোনায় কোনায়
যেখানে নীলিমার প্রেম মাটির বুকে ?
নাকি অনন্ত সুখে জেগে আছো শিশিরের জল হয়ে
শঙ্খচিলের ডানায় ডানায় ?
নাকি জেগে আছো প্রতীক্ষীত কোনো
প্রেমিকের বোবা কান্নায় ?
হ্যাঁ তুমি এখানেই আছো ।
প্রতিদিন প্রতিরাত ঝরে পড়ো অশান্ত বন্যায়
যখন নেত্র সাগরে বেজে উঠে জোয়ারের সানাই
যন্ত্রণার হাত ধরে হৃদয়ের নিভৃতে সুতীক্ষ্ন কোণায় ।
হ্যাঁ তুমি এখানেই আছো নিরবে দাঁড়িয়ে স্বপনের আয়নায় ।
খুঁজে যাই সেই মেয়েটাকে স্বপ্নবৃক্ষের শাখে শাখে
অনেক যত্ন করে ধরে রাখি তারে হৃদয়ের ঘরে
তবু ভেঙে যায় সুখবন্দীর মৃদঙ্গ কারাগার
জেগে থাকে শুধু হাহাকার !
নজ্ঞর্থক বাক্য দিয়েই লেখা হয় এক কাহিনী :
শুধু নেই সেই মোহিনী....
নিশিদিন কেঁদে যায় ব্যর্থ স্বপন
কোথায় হারিয়ে গেছে  
সেই মেয়েটাকে দেখিনা এখন ।


writing date : 30/11/2013