(1)
আমার কোমল শয্যা - সহবাস !
সঙ্গিনীর বুকে মুখ গুঁজে
নীরব আমি
চরম সুখের প্রত্যাশায় !
-আমি এক ভিনদেশী রাজকুমার !
যখন ভগ্ন কুড়েঘর,
বিদীর্ণ ভিত্তি
তখন আঁধার ঘেরা কুটিরে
এক জ্বলন্ত মোমবাতি ।
হৃদয়ে ক্রশ কাটতে কাটতে
নত আমি ।

(2)
রাত্রে বিনিদ্র নিস্তব্ধতার
প্রেমে পড়ে চতুর্দিক ।
নিসঙ্গতার করখানি নির্ভয়ে ধরি,
হাঁটতে থাকি মোলায়েম বন্ধুরে..........
সাদা-কালো ঘুড়ি উড়ে
হৃদয়ের নীলিমায় ।
উড়তে থাকে..............
নিম্নগামী হয় অন্তিমে,
নিশ্চুপ হয়ে যায় !
কখনো বা ছিন্ন হয় সুতো,
হারিয়ে যায়............
সর্বনিশি ক্রীড়ারত আমি এভাবে ।
নিস্তব্ধতা তন্দ্রিত হয় হঠাৎই
সুখের শয্যায় !
কালো চাদর গুছিয়ে রাখে আলনায় ।
পড়ে থাকে ঘুড়ির অন্তিম অবশেষ !

(3)
সেই কোমল পায়ের সিঞ্চন ধ্বনি
বিবিক্ষা হারিয়েছে আজ,
ভগ্ন হৃদয়ে পড়ে না উষ্ণ নিঃশ্বাস !
একাকিত্বতা গ্রাস করছে আমায়
নগ্ন বারান্দায় !
মেঘলা আকাশের আলাপন ;
ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি নামে
-আমি সিক্ত ।
আমি মুক্ত,
কোমল উষ্ণ অবয়বের
বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে ।
পরিবর্তন হয়েছে প্রবাহিনীর গতি !
মেয়েটা আর ফেরেনি...,......

(4)
আজ রাত্রিরে আমি বিহগ হলাম !
মুক্তির আকাঙ্খা সডানের
কোনায় কোনায় ।
আমি উড়ন্ত
আমি বেগমান
আমি............,.
নিশুতির বিভীষিকা গিলে খাবে
সিতবস্ত্রা সে নারী,
যে আলোকের সাথে স্খলিত হয়
সডান হতে ।
সে পালিয়ে বেড়াবে না,
তার সর্বাঙ্গে প্রতিটি তিল আমি
গুনে রেখেছি ।
থেকে যাবে আজীবন !
শাদ্বল বন্ধুর অতিক্রম করে
যখন ফিরে যাবো
ইতিকা বেলার মেঘপুঞ্জতে চড়ে
তখনও সে খেলবে -
এক দুই তিন...................

(5)
আজ রাত্রিরে অন্ধেষা মন
ছুটল সরণি অন্তিমে
অনুভবের কামনায় ।
স্পর্শিল বিয়োগিত মরু সাহারা !
ধ্রিয়ানের পাশে বসে
আমি একাকি...........
ধূ ধূ করা তপ্ত বালুকা......
সাঁজাল মাখতে মাখতে
অবশেষে সিক্ত যোনির অন্ধকারে
হারিয়ে যাবে সব পরিস্হিতি !

(6)
ধ্বান্তারি নই,
আঁধার রয়েছে রক্তের কণিকায় !
যৌবনভরা যুবতীর
স্তন দুটির মতো আমি নিরেট,
ছুটন্ত...........
কঠিন বিবর্ণ মৃত্তিকার আলাপনে
সর্বক্ষণ আমি ।
অবশেষ কিছু রঙীন নিশ্চুপ নির্মোক,
জড়াব কালো চাদর ।
অপাঙ্গের দুফোঁটা জলে ভেসে যাবে
সব পরিস্থিতি !