হঠাৎ দুঃস্বপ্ন !
ছেলেটা জেগে উঠে মধ্যরাতে ।
খোয়ারে তাঁতের ক্রন্দন :
তাহলে বাবা কি জেগে ?
সত্যি তাই :
ক্লান্তির ছায়া ঢাকা ঘর্মাক্ত অবয়ব,
ঘুমঘুম দুটি রক্তিম চোখ
ক্ষীণ দৃষ্টিতে মোড়া,
চঞ্চলতার আলিঙ্গনে দুটি হাত দুটি পা,
অক্লান্ত মাকুর আনাগোনা মসৃন কক্ষপথে;
সুতোর পরে সুতো : লাল নীল সাদা.........
বস্ত্র না, এ যেন চরম প্রয়াস
আঁধারের হৃদে অবিচ্ছিন্ন আলোকের জাল বোনার !
ছেলেটা পুবের জানালা দিয়ে
উঁকি মেরে দেখে অসহায় বাবাকে
যে দিনমানে মাঠে খেটে
রাত্রি প্রহরে তাঁতের খোয়াড়ে !


সেই যে ছেলেটার ঘুমটা ভেঙে গেল দুঃস্বপ্নে
আর আসেনি.......
দুঃস্বপ্নকে ধুয়ে গেছে বিস্মৃতির ঘাম ।
দু চোখে অশ্রুর গান নিয়ে
সে এখন চারিদিকে শুনছে :
রাত্রির নিস্তব্ধতা ভাঙা তাঁতের ক্রণ্দন
আর উপবাসী আঁটকুড়ে উনুনের আর্তনাদ !