জোনাকি আর কেঁদো না
সেগুনের বড়ো পাতাটির নীচে মুখ লুকিয়ে ।
কিসের যন্ত্রণা তোমার ?
তুমি কি আমার মতো জীর্ণ হৃদয়ের কর্তা
নাকি দলছুট ?
বলে যাও জোনাকি :
তোমার প্রেয়সীরে কি নিয়ে গেছে বাবুইয়ের দল ?
অন্যের ঘর আলো করে
তোমায় গিয়েছে ভুলে
কিংবা সে আর নেই
তার লাশ পোঁতা আছে তাদের ঝুলন্ত নীড়ে !


বলে যাও জোনাকি যন্ত্রণার ইতিকথা ;
আর কেঁদো না তুমি ।
সেগুনের পাতা থেকে টুপটুপ ঝরে যায় জল :
জোনাকির অতৃপ্ত অশ্রু ??
খেয়ালই করিনি
কখন এক পশলা ভিজিয়ে দিয়ে গেছে
প্রকৃতির অবয়ব ।
চেয়ে দেখি - জোনাকি তো নেই !
জোছনার আঁচল বেয়ে অনেক খুঁজলাম তারে...
জানি না এ কান্না কার !
অবশেষে ক্লান্তি জড়িয়ে
সিক্ত পাতাটির বুকে হাত রেখে
বলে উঠলাম - জোনাকি আর কেঁদো না ।