ঘর ছেড়ে বহুদূরে
আঁধারের পথ ধরে
আমি হেঁটে গেছি
দেখেছি পুরানো প্রাচীরে ঘেরা
সেই নির্বাক ভগ্ন কোঠাবাড়ি
সারি সারি কাজু কাঁঠালের গাছ ;
যেখানে গোলাপি আস্তরনে আবৃত
একটা মেয়ে
সাদাকালো আস্তরনে মোড়া
একটা ছেলের অতৃপ্ত কামনা
কেঁদে বেড়ায় কিবা দিন কিবা রাত.....
তারা অতৃপ্ত অন্তঃচক্ষু বুজে ফেলে
প্রত্যক্ষ দর্শনের সরণিতে
হাঁটতে চাইত বারবার ।
অভগ্ন আলিঙ্গনের সুতোয় বাঁধা
দুটি অবয়ব,
মনে মন হাতে হাত আলো কি আঁধার !
একটা সিগারেটে পোড়া ঠোঁটের মাঝে
গোলাপি ঠোঁটটা
সাবলিলে বেঁধেছিল বাসা ।
উষ্ণ এক শীতবস্ত্রের কোলে
তাদের ছিল এক পৃথিবী ।


জানি না তারা কি আজ পরাজিত
নিঠুর বাস্তবের করাঘাতে !
সেই ছেলে আজ উন্মত্তের তরুশাখে
এক আহত বিহগ
দুর নিরালা প্রান্তরে ক্লান্ত সেই অবলা মেয়ে !
কোনো পৌষের প্রভাতে
কিংবা দুপুরে সন্ধ্যায়
তাদের চেতনা আজও ছুটে যায়
কাজু কাঁঠালের সারি বেয়ে..........