সেই ভিক্ষুক :
গেরুয়া বসন সাদা উষ্ণীষ
ঝোলা কাঁধে আজও হেঁটে যায়
পল্লির অলিতে গলিতে...
প্রায় চৌদ্দো বছর আগে
তার গান শুনেছি নিরালা দুপুরগুলিতে ।
তার গানে ঘুমেরা দু'চোখে
চাদর ঢেকে দিয়েছে বহুবার ।
তার যবিষ্ঠ দেহ ক্ষয়ে গেছে,
বুকের ছাতিটা যেন কে
কাঁচা এঁটেল মাটির মতো দু'হাতে চেপে
অসমানে আগুনে দিয়েছে পুড়িয়ে !
শীর্ণ হাড়গোড়গুলো যেন
বেরিয়ে আসতে চায়...
আজও সে হেঁটে যায় পল্লির বুক চিরে
বিরহের সুর তুলে একতারাটায়  
আজও সে হেঁটে যায় প্রখর রৌদ্রে
তপ্ত প্রান্তর বেয়ে একাকি নিরবে
আজও সে হেঁটে যায়...
তার একতারাটা যেন বলে যায়
এক রিক্ত জীবনের ইতিকথা !
সুখের প্রসবে ব্যর্থ তার
আঁটকুড়ে হৃদয় কেঁদে যায় প্রতিক্ষণে !
ভিক্ষুকটার গান শুনে
আজ ঘুমেরা চাদর দিতে পারেনি চোখে,
সে গান বর্ষা দিয়ে গেছে অঝোরে...
বরং ঘুমেরা আলিঙ্গন করে
ক্ষুধার্ত শিশুর সাময়িক কান্নার সুরে ।