একলা আমি যাচ্ছি হেঁটে নিরব প্রদোষক্ষণে
হাজার পাখি যাচ্ছে উড়ে পীবর গহীন বনে ।
ধূসর আলো দিগন্তে ওই সূর্যি গেছে পাটে
সাঁজাল ধোঁয়া আসছে নেমে বীজন মাঠে ঘাটে ।
আলতো করে আঁধার নিয়ে সন্ধ্যা এলো নেমে
ছুটন্ত মোর পথটা যেন যাচ্ছে থেমে থেমে !
অবশেষে সন্ধ্যা যখন বুনন যন্ত্র নিয়ে
অন্ধ নিশি বুনে দিল সাঁজাল ধোঁয়া দিয়ে-
তখন আমি অন্ধকারে পাইনি পথের দেখা
পায়ের তলে ঘাসের শিশির দাঁড়িয়ে আছি একা ।
হারিয়ে গেল পথটা আমার হারিয়ে গেলাম আমি
দাঁড়িয়ে আছি ছুঁয়ে যেন মাতৃ জঠর ভূমি ।
আঁধার তবু আছে যেন প্রশান্তির এক ছায়া
নিয়ম মেনেই গ্রাসিল যে আঁধারতলির মায়া ।
এমনি করেই পথের শেষে মৃত্যু নেমে আসে
বিদায় শিশির ঝরে জীবন চতর ঘাসে ঘাসে ।