আমি চিতার আগুনে
জ্বালিয়ে দিয়েছি
নীলকন্ঠী স্বপ্ন-মানবীরে
যে আমার যন্ত্রণার বিষ
কন্ঠে ধরেছিল একদিন ;
আমি কবর দিয়েছি
তার পোড়া ছাই
আধপোড়া কঙ্কাল
সুবিশাল খোলা প্রান্তরে ;
অনিত্য সমাধি গড়েছি
যন্ত্রণার ইঁট পাথরে...
সদা বহমান পরিখা গড়েছি
অশ্রুর নোনাজলে ।


সে আর আসে না...
গভীর রাতে তন্দ্রার ভিড়ে
স্বপনের আল বেয়ে হৃদ প্রান্তরে ।
যখন সে প্রান্তরের কাদাজলে
যেত বয়ে দুর দুরান্তে
স্বপ্ন সরণি বেয়ে
তখন ঘুমভাঙা চোখে প্রত্যক্ষ -
সুদৃঢ় বর্বর বাস্তব !
সমাধি হল
নিশ্চুপ অক্ষর মালিকা হল
শুভ্র পত্রে ।


কেটে গেল কয়েকটা বছর...
নীলকন্ঠী আজ নেই !
শুধু কান পেতে শুনি প্রতিরাতে
সমাধির ভেতরে বাজে
নির্বাক নীলকন্ঠীর নিক্কন ।