বৃহৎ জমিন
সীমাপরিসীমাহীন বেড়াহীন...
উর্ধ্বে সুরম্য নীলিমা
উড়ন্ত শঙ্খচিলের গন্ধ শিশিরের জল ।
নেমে আসে কত বলাকার দল
সপ্তক সুরে,
ডানা ঝাপটায় উড়ে যায়
রোদসীর চরে
খেলা করে শঙ্খচিলের ছায়া ।


কোনো ক্ষণে বীজ বপি
ফসল ওঠে রাত দুপুরে,
প্রতিরাতে নবান্ন হয় :
শঙ্খ বাজে প্রদীপ জ্বলে
বয়ে যায় অলোলিকা ধ্বনি...
নবান্ন শেষ হলে উঠোনের কোলে
জমে থাকে অমূল্য ধন
আর পড়ে থাকে
ঘুমন্ত প্রদীপের অঞ্জন ।


যখন জমিনের পরে
নামে অন্ধকার
স্তব্ধ হয় সব পারাপার !
প্রত্যক্ষে ধারকের চোখে
ঝরে নোনাজল
উষর আঁচল
সব ঢেকে দেয় নিগূঢ়ে
যখন খেলা করে শুধু অন্ধকার
জমিনের পরে...
ঝঞ্ঝাবর্ত এসে নিয়ে যায়
শষ্যের দানা ;
উদ্বর্তনে টিকতে পারে না তারা :
ধ্বান্তারি নয় -
অন্ধকার গ্রাস করে !
বিত্রস্ত ফসলের কবর হয়
কানীন সন্তানের মতো মুখ লুকিয়ে
হারিয়ে যায় অন্ধকারের ছায়ায়...