মেয়েটার পরনে হৈমন্তী শাড়ী
চুলের খোপায় হলুদ গাঁদা
সকাল-সন্ধ্যে সিক্ত আঁচল উড়ে উত্তুরে বাতাসে
সময়ের ধ্বজা হয়ে ।


এখন মাঠের সব ধান উঠে গেছে ঘরে
মেয়েটা হেঁটে যায় খোলা প্রান্তরে :
অবশিষ্ট ধানের গোড়া, কেঁচোর শক্ত টিবি,
গোটা দুই শষ্যের দানা, ঝরা পালক, শুভ্র সর্পের নির্মোক,
কিছু ভাঙা ডিম ঝরা পাতা ভেজা ঘাস
- এগুলো নিয়েই সে সাজায় তার পৃথিবী ;
দু'পায়ে তার শিশিরের স্নান ।
শরীরে হৈমন্তী ঘ্রাণ নিয়ে সে হেঁটে যায়
একটা সাময়িক অন্ধকার পর্যন্ত...