রৌদ্রবেলা ভরদুপুরে ভাবি যখন তোরে
শ্রাবনধারা খেলে তখন দুটি নয়ন জুড়ে ।
বুকের ঘরে অন্তঃপুরে বালিয়াড়ির গানে
এক সাহারা নিরব হয়ে হাঁটে আমার প্রাণে ।
মরু ঝড়ে ধ্রিয়ানগুলো জীবন্ত হয় সবে
মন সাহারার স্বপ্নগুলো হারায় অনুভবে ।
সুখ পাষানের খন্ডীকরণ ক্ষয়ীভবন শেষে
গুড়ো বালি হয়ে পাষান ধ্রিয়ানেতে মেশে ।
তোর লাগি আজ তপ্ত মরু জীবন এলোমেলো
তোরই কি দোষ এই নিয়তি ভাগ্যে লেখা ছিলো ।
কার জীবনে মরুদ্যানে শীতল ছায়া দিলি
এক পৃথিবী আঁধার করে কতটা সুখ পেলি ?
যেথায় থাকিস সুখে থাকিস ভালো থাকিস মেয়ে
অপেক্ষাতে থাকব আমি দূরের পথ চেয়ে ।
কখনো বা মনে যদি পড়ে আমার কথা
অনুভবে উলটে দেখিস নষ্ট প্রেমের গাথা ।
দেখবি চেয়ে কাঁদছে একা একটা চেনা প্রেমী
হয়তো সেদিন খুঁজবি মোরে-কোথায় আছো তুমি ?
পাবি না রে খুঁজে আমায় যাব সেদিন চলে
চোখের জলে আসিস না মোর শেষ সমাধির কোলে ।