ইতিকা বেলার বিষণ্ণ সিঁড়ি বেয়ে
তন্দ্রিত গোধূলির বুকে মাথা রেখে
যখন ফিরে গেল একঝাঁক বলাকার দল
তখনই খুঁজেছি তোমার আঁচল,
চঞ্চল স্মৃতির ঘেরাটোপে আবদ্ধ পিঞ্জর
-রিক্ত বাসর অভিমানী চেয়েছে তোমায় ।
মনে পড়ে ? এসেছিলে নুপূর দু পায়
এক শীতসন্ধ্যায় ?
ছিল হরষের বহিঃপ্রকাশ
তোমার গোলাপি দুটি ঠোঁটের প্রসারণে
প্রেম ছিল দু'চোখের কোনে - অপাঙ্গে ?
মনে পড়ে ? প্রথম স্পর্শ তোমার কম্পিত অঙ্গে
শশীপানা মুখ থেকে এলোচুল সরিয়ে একটা উষ্ণ চুম্বন
ইপ্সিত আলিঙ্গন ?
তারপর বুকের ভাঁজে মুখ গুঁজে খুঁজেছিলাম
একটা পৃথিবী ভোরের শান্ত নদীর মতো ?
মনে পড়ে ? হয়তো ভুলে গেছ !
একট বৃহৎ ভুলের পৃথিবী ডিঙিয়ে তুমি আজ বহুদূরে...
আজ সহস্র ক্ষত আমার পিঞ্জরে !
ডুঁকরে কাঁদে তোমার স্মৃতিরা সারাবেলা
হাজার স্বপন সমাধির পরে ।
আজও খুঁজি কাজু কাঁঠালের বনে
ধূলি পথের আঁকেবাঁকে
খুঁজি ইতিকার বিষণ্ণ সিঁড়ি বেয়ে
নীড়ে ফেরা বলাকার ভিড়ে
তোমাকে অভিমানী শুধু তোমাকে........