রাত্রির অস্তিত্ব দিনকে সার্থক করে
তাই তো খুঁজি উলঙ্গ রাত্রি
পরিচিত সমুদ্রের অনেক গভীরে
নিস্তরঙ্গ স্রোতহীন শীতল কঠিন সাম্রাজ্যের বুকে ।
উষাবেলা সার্থক করে সূর্যিটা মেঘের কাপড়ে
ছন্নছাড়া অঙ্কন তুলে ঘুমিয়ে গেছে
থেমে গেছে তাপের প্রবাহ ।


নির্মম বাস্তবের নাগপাশ ছাড়িয়ে
নিজে নিজেকেই ঢাকি নীল চাদরে,
সূর্যি আসে এক আঁচল উষ্ণতা নিয়ে
তোর বুকের আবদ্ধ উষ্ণতাতেও
গলে যায় অনেক বরফ,
মুখ ঢাকি দুটি উলঙ্গ স্তনের মাঝে
জমে থাকা অন্ধকারে ;
সূর্যি নিয়ে, উষ্ণতা নিয়ে দিনের বুকে হাঁটি ।


হঠাৎ
অট্টহাস্য করে চাদরটা খুলে নেয় নির্মম বাস্তব !
তারপর তুই অনেক দূরে অনু ,
সেই উলঙ্গ রাত্রি....
বাস্তব আমায় হাত তুলে বলে দেয় -
নীল স্বপ্নের আবশ্যম্ভাবী পরিনতি ।


বাস্তবে মৃত সুখের কঙ্কাল ঘেরা
বিবসনা বিদেহী গর্ভবতী বেছন্দ যন্ত্রণার মেঘ'ই
প্রসব করে নগ্ন ছন্দিল সুখের বৃষ্টি ।