সাদা শাড়ীর আঁচলের ভাঁজে
এক চির বিচ্ছেদের বেদনা লুকিয়ে রেখে
মেয়েটা দরজায় খিল দেয় :
বেদনার পাশে এক অমলিন ভয় কাজ করে :
সভ্যসমাজের সৌন্দর্য্যের প্রলেপ লাগানো
অসভ্য নগ্ন চোখগুলো পাহারা দেয় তার বাড়ী ।
কয়েকটি রক্তিম পুরুষালি উত্তেজনা
তার শিকারের অপেক্ষায়....
ছুটে গিয়ে বিষ দাঁত গেঁথে দেবে
কপালে, ঠোঁটে, সুডৌল স্তনযুগলে......
নষ্ট করবে তাকে !
দুচোখে বহতা নদী
আর হৃদয়ে চৈত্রের দাবদাহ নিয়ে
মেয়েটা বসে থাকে স্মৃতিবৃক্ষের ছায় :
তারও ছিল একটা ছোট্ট সংসার
সেও বাঁচতে চেয়েছিল দুঃখ সুখের বিনিসুতো ধরে ।


এইভাবে যায় দিন....
নিষ্ঠুর নিয়তি আরও নিষ্ঠুর হয় একরাত্রিরে :
তার অমলিল ভয় অস্তিত্বের হাত ধরে :
অসভ্য নগ্ন চোখের দৃষ্টি
আর সেই পুরুষালি রক্তিম উত্তেজনাগুলো
তাকে শিকার করে নিয়ে যায় পশ্চিমা প্রান্তরে ।
বসন্তের রাতে ভেসে আসে
এক ঠুনকো কাঁচের মতো তীক্ষ্ম চীৎকার ,
তারপর সব নিঝঝুম !
রাত চলে যায়
ডুবে যায় বসন্তের চাঁদ
পুবাকাশে পাপড়ী মেলে রক্ত জবা,
পড়ে থাকে প্রাণহীন অর্ধনগ্ন দেহ
শাঁখা নেই, সিঁদুর নেই,
নিশ্চল বুকের ভেতর বেদনার ছায়াও মরে গেছে
জীবনের সাথে ;
শুধু সাদা শাড়ীর আঁচলখানি উড়ে যায়
বসন্তের বাতাসে.....
জেগে ওঠে সমস্ত প্রকৃতি একে একে,
শুধু অভাগীই ঘুমিয়ে রয় চির নিদ্রায় মাটির বুকে ।