আমার স্বাধীন-ভাবনার অনেক গভীরে
উষ্ণ শীতল বহমান স্রোতঘেরা পরিখা :
জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভেসে যায় উড়ন্ত কিশোরী ।


যখন হৃদয় বন্দি সুখ পাখি
আঁধার সরিয়ে ডানা ঝাপটায়,
কিশোরীর খিলি খিলি হাসি :
সোনা রোদ ঝরে
প্রহরে প্রহরে-ঘরে অন্তরে ।
যখন পাখি ব্যস্ত উপভোগে
যন্ত্রণার সুখ,
কিশোরীর অশ্রুজল মেশে পরিখার স্রোতে ।


উড়ন্ত কিশোরী নেমে আসে,
আমি তার আরক্তিম কাঁচা সিঁথি ঢেকে দিই
নীল ওড়নায় ।
আমার বুকে হাত রাখে
স্পর্শ মেখে আমি কাঁচা কিশোর,
প্রশ্ন করি :
ওগো কেন ছড়িয়ে যাও অশ্রু ফুলের সুরভি ?
উড়ন্ত একটা নিঃসঙ্গ ঘুড়ির দিকে
হাত তুলে বলে যায় :
আমি যে জানি তুমি আসন্ন বিকেলের বিষন্ন কবি ।