মনে পড়ে :
একদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠেছি চৌতলায়
চিলেকোঠা ছাদ
আমার দৃষ্টিবন্দি সমাজ,
সমাজের ঘরে ঘরে সাজানো পৃথিবী ।
আমি দেখেছি -
সমাজের মানচিত্র
পর পর সাজানো পৃথিবীর দৃশ্যপট :
সমতলভূমি ক্ষয়ে ক্ষয়ে চড়াই উতরাই,
বন্ধুর দুর্গম পথ, চৈত্রের দাবদাহ....
বৃষ্টির মেঘ মেশে দিগন্তের দেহে
মেঘলা রোদ্দুরে আসন্ন বিকেল ।


দেখেছি -
প্রত্যুষে ইঁটের ভাঁটায় শিশু শ্রমিকের দল
দ্বিপ্রহরের বটের ছায়ে পরিশ্রান্ত ভিক্ষুক
পড়ন্ত বেলায় মাঠ ফেরৎ ক্লান্ত চাষী
ক্ষুধার্ত উপবাসী আঁটকুঁড়ে উনুনের নিরব চাউনী ।
শুনেছি -
রাতদুপুরে ক্ষুধার্ত শিশু আর তাঁতের ক্রন্দন
ঘুরন্ত চরকার শনশন
যেন আগত শেষ বিকেলের কালবৈশাখী !  
কালো অন্ধকারের স্রোতে ভেসে যায়
সমাজের মানচিত্র....
এ আমাদের সমাজ !! -
মুখ ঢাকি উঠোনে পড়ে থাকা
জীর্ণ ঘুড়িটা আড়াল করে ।


মনে পড়ে :
সিঁড়ি বেয়ে উঠেছিলাম চৌতলায় ।
দৃষ্টিনিবদ্ধ হয়েছিল একটু আলো
মানচিত্রের যত্রতত্র ??
হ্যাঁ, মানুষরূপী হিংস্র পশুগুলো
যাদের পৃথিবীতে জ্বলে
অন্ধকার সমাজের মানচিত্র রেখায় সাজানো
পৃথিবীবাসীর রক্তঘামের প্রদীপ ।