শঙ্খচিল !
অনু এখন গৃহিনী
ওই দূরে এক গাঁয়ে পাকা দালানবাড়ি
-তার সংসার ।
একাকি দিন কাটে তার
রান্নাঘরে দখিনা জানালার পাশে ।
লালধূলিপথে
কোমল পায়ের চিহ্ন আর পড়ে না এখন
তাই হাঁটি না ওই পথে ।
তার শাড়ির আঁচলে এখন রসুনের গন্ধ,
দু পায়ে নুপূরের গান,
অভিমান নিয়ে
এলোচুল আজ শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে
খোপার ভিতর,
চঞ্চল হাতের কঙ্কনগুলো
নব জীবনের ঝংকার তোলে বার বার ;
আমার বাঁধা নীল সুতোটা
এখন বুঝি নেই আর !
হয়তো সে ভুলে গেছে
এই বেকার কিশোরের অস্তিত্ব !


শঙ্খচিল !
তুমি চেয়ে দেখো -
অপরূপ সৌন্দর্য্যের সত্ত্বায়
আজ কেমন মিশে আছে আমার অনু  !
অন্যের ঘরে বধূ সেজে
আমার আলো আঁধারি ঘরের মাঝে
রেখে গেছে বিশাল শূন্যস্থান !
তুমি দেখেছো -
সব ভুলে সে আজ কেমন পারস্থ গৃহিনী
জাগ্রত সুখের মহলে ?
দখিনা বাতাস তার অজান্তেই
তাকে আলিঙ্গন করে বসে সর্বক্ষণ,
সে কেমন বেহায়ার মতো
বিচরণ করে, ছুঁয়ে যায়
তার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ :
উত্তপ্ত শরীরের বিন্দু বিন্দু ঘাম
বাষ্পীভূত করে
উড়িয়ে দেয় অনন্ত ঠিকানায়........
জানি - মেঘ হবে,
ভিজবে আমার অস্তিত্ব ।


তুমি জানো কি
তার ছলনার প্রেমে আজ
গর্ভবতী দখিনা বাতাস ?
অদেখা জঠরে আমার সত্ত্বা ?
শঙ্খচিল !
অনু কি কোনোদিনও জানবে না
আজও সারাবেলা ছুঁয়ে যাই তারে ?
তুমি জানিয়ে দিও চুপি চুপি
নিঝুম দ্বিপ্রহরে ।
আর শোনো, এই কঙ্কন দুটি নিয়ে যেও,
বলে দিও - আবার দেখা হবে
সেই কাজু কাঁঠালের বনে
কোনো এক নূতন জনমে ।