অক্লান্ত সময় কাঁধে করে পার করে দিল
শেষ চৈতি দিনের বিকেলটা,
শেষ গন্ধটুকু ডানায় মেখে ফিরে গেল
বনকুহকের দল ।
শান্ত হলো মেঘের আঁচল
মেঘ দরজায় পড়ল তালা,
সূর্যিটা বুকের জ্বালায় গুটিয়ে নিল
তার আলো ছায়া সংসার ।
আর মাত্র কয়েক প্রহর পার,
আগ্নেয় পর্বতটা নতুন উপাধি নিয়ে
উগরে দেবে বৈশাখী লাভা ।
আর উঠবে না চৈতালী সুর
বাজবে না চৈত্র্য নুপূর
আর উড়বে না হলুদ পাখিটা
চৈতি দুপুরের ঘ্রাণ নিয়ে ডানার ভেতর ।
সময়ের স্রোতে ভেসে আসবে অন্য দ্বিপ্রহর -
চঞ্চুতে বৈশাখী আতর নিয়ে ছড়িয়ে দেবে
হলুদ ডানায় ।
আসন্ন বেলায় বিষণ্ণ ছেলেটার সুতোকাটা ঘুড়িটা
বৈশাখী মলয়ের হাত ধরে
ছুঁয়ে যাবে দিগন্তের মেঘ..............
মাগো, তারপর সন্ধ্যার বৈশাখী চাঁদ এলে
তোমার হলুদ শাড়ীর আঁচল ভরে
জোছনা এনে মাখিয়ে দিও
আর কপালে দিও ঠাকুরঘর থেকে আনা
চৈতি চন্দনের ফোঁটা,
পরক্ষণে তোমার কোলে একটু ঘুমুতে চাই মা ;
ছেলেবেলার মতো একটা নীলপরীর গল্প বলে দিও
স্নেহে আঁচল ঢেকে দিও গায়
সময়ের হাত ধরে বদলে যাওয়া নতুন এক
বৈশাখী সন্ধ্যায় ।