"কুয়াশায় ঢাকা দিগন্তের পাহাড়,
বিষণ্ণ মেঘমালার সংগোপনে মুখ থুবড়ে পড়ে
তৃষ্ণার্ত সূর্যিটা !
শঙ্খচিলের ডানায় চেপে ঘরে ফেরে
অমলিন সন্ধ্যা
তখন ঝাউবনে প্রদীপ জ্বলে :
খেলা করে মায়াবী জোনাই ।
জোৎস্নাস্নাত পাকুড়ের পাতাগুলো ঝরে পড়ে
মৃত স্বপ্নের মতো.......
অদৃশ্য মৌনতা পাহারায় বসে ।
শুধু আধোভেজা একটা অপলক দৃষ্টি
মৌনতার পাশে দাঁড়িয়ে
আঁকতে চেয়েছিল একমুঠো ইতিহাস ।
রেটিনায় ভেসেছিল সব প্রতিচ্ছবি -প্রকৃতির, মৌনতার দেহ ......"


- সে এক কিশোরীর অসমাপ্ত গল্প ।


গল্পটা বলেছিলে তুমি
শীতের মৌন এক সন্ধ্যায় ।
তোমার শিশিরস্নাত চুল ছুঁয়ে প্রশ্ন করেছিলাম -
"মৌনতা বুঝি মানুষ হলো
নাকি কিশোরীর উন্মাদ দৃষ্টি বেঁধেছিল সব ?"

সেদিন উষ্ণ আলিঙ্গনে আমায় বেঁধে বলেছিলে -
"অস্তিত্বের দৃষ্টি পার হয়ে হৃদয় নিভৃতের রেটিনায়
অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করে
দেহ তার বক্ষে জড়িয়ে
কিশোরী এঁকে গিয়েছিল এক জীবন্ত রূপ ।
এই বুকে মাথা রেখে তুমি দুচোখ বুজে দেখো -
নিরাকার প্রেমের বলিষ্ঠ দেহ
কিংবা এই ভেজা চোখের ভিতর লুকিয়ে থাকা
অশরীরী মৌনতার শরীর ।"


অনুরাধা !
সেই মৌন সন্ধ্যা রাত থেকে
অনেক খুঁজেছি তোমার বক্ষে,
তোমার চোখের ভিতর লুকোনো সাম্রাজ্যে....
তারপর -
কিশোরীর অসমাপ্ত গল্পের সুতোয়
মৌনফুলের মালা গেঁথে
একদিন হঠাৎই তুমি হারিয়ে গেলে
দূর অজানায়.................