অন্ধকারে পড়ে থাকা
সহস্র জীর্ণ পৃথিবীর জীব
যেভাবে নগ্ন উত্তাপে বরফ গলায়
চোখের ভিতর
সেভাবেই বৃষ্টি এলো......
খোলা উঠোনের বুকে জাগে না প্রদীপ,
বৃষ্টি নুপূরের তালে ছন্দ হারায়
শঙ্খের ধ্বনি ।
সান বাঁধানো পথের উপর
মৃতপ্রায় সুখের মতো ল্যাম্পপোষ্টের
আলোয় দেখি -
মহুয়ার ডালে বৃষ্টিস্নাত রাতজাগা
এক পাখি ।
কলাবনের পাশে টিউবওয়েলটা
সুদীর্ঘ সময় অক্লান্ত কান্না নিয়ে
আজ বুকে বরফ বেঁধে নিশ্চুপ !
ঝোড়ো হাওয়ায় বৃষ্টির ছিটেফোঁটা লাগে
দালান বাড়ির দরজায় ।
সহানুভূতিহীন দরজাটা স্বার্থ নিয়ে
বন্ধ হয়ে যায় !
খড়ের চালাগুলো কাঁদে
বৃষ্টি আলিঙ্গন করে মাটির দেওয়াল,
জাপটে ধরে যেন ছিঁড়ে বের করতে চায়
তার কাঙ্খিত কঙ্কাল !
উপোসী উনুন কাঁদে স্যাঁতস্যাঁতে রান্নাঘরে,
আঙুল খাদক ছোট্ট শিশুটা
কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায় ।
রাতের মধ্যপ্রহরে
টুপটাপ বৃষ্টির সাথে শুনি -
কর্দমাক্ত পথে
সাইরেন দিয়ে যায় বৃষ্টিস্নাত অ্যাম্বুলেন্সটা ।