পলাশের বনে
ঘুঁটে কুড়োনি কিশোরীকে আলিঙ্গন করে
ভোরের আতপিত রৌদ্র ।
আনমনে হেঁটে চলে
ঘাসবিছানা পার হয়ে, ক্ষেতে ক্ষেতে-
কেঁচোর শক্ত টিবি ভেঙে.......
মাথায় বাঁশের বোনা ঝুড়ি
নগ্ন পায়ে মায়ের দেওয়া নুপূর,  
এলোচুল শান্ত নিরব
রক্তিম ফিতে আলিঙ্গিত খোপার ভিতর ।


হেঁটে চলে..... বেলা বাড়ে......


অমোঘ নিয়মে
সুপরিবাহী প্রকৃতির বুক চিরে
বয়ে যায় বর্ধিষ্ণু তাপের প্রবাহ ।
অনুভবের হাত ধরে ক্লান্ত কিশোরী
করঞ্জের ছায় খুঁজে পায়
অনাবিল শান্তি ।
বৈশাখী হাওয়ায় যবনিকা নামে :
নয়নপত্র আছড়ে পড়ে চোখের উপর ।
কোকিলের শাশ্বত গান
আসন্ন ঘুম ছড়িয়ে দেয় শিরায় শিরায়....
হঠাৎই ঘুমভাঙা চোখে
অস্তিত্বের পৃথিবী দৃষ্টিবদ্ধ করে
প্রাচীন এক অনুভবের অট্টহাস্যে :
নিঃসঙ্গতার নদী সাগর খোঁজে !


কিশোরী হেঁটে যায়....
মানুষের ভিড়ে চায় সে অনন্ত সুখ,
অবুঝ কিশোরী বোঝে না প্রকৃতির মায়া ;
মানুষের চোখে খোঁজে প্রেম
মানুষের বুকে খোঁজে শান্তি ।
বাস্তবের আয়নায় সে প্রতিচ্ছবি ক'জন দেখে :
মানুষ ভুলে যায় চিরায়িত প্রেম
প্রকৃতি যে ভোলে না কক্ষনো ।