পলাশে পলাশে বসন্ত নামায় পলাশির যুদ্ধ ।
মিরজাফরতার রক্তশাড়ী আকাশ
শেষ মৈথুনেও না শুক্রাণুর বীর্য ঢেলে দেয়
মরুভূমির মর্যাদায় ।
অসামঞ্জস্য সিঙ্গুরগুলোর কংক্রিটে গজিয়ে ওঠে আঙ্গুরের বন
না পেলেই বড়ো টক, বড়ো বিস্বাদ ।


হরপ্পা হতে হতে কত ধূলাগড় বিষাক্ত ধমনী ছিঁড়ে
ঠুকে চলে অস্তিত্বের শিলমোহর ।
কত, ধুনুচির ধোঁয়া গিলে গিলে
ধূসর ধারাপাতের শূন্যতায় ধূমল ।


কত শত শাবানার স্বপ্নতলায় তালা ঝুলিয়ে
তিন তালাকের তপস্বী লুফে নিয়ে যায়
অপ্রত্যাশিত আত্মসমর্পণ ।
কত শত শ্রীজাত -
শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় স্বাধীন বাহানাদার কলমের খোঁচায় ।


ধর্মের খলমকুচিতে কুচি কুচি করে রাখা
অভিজিৎ ওয়াশিকুরের দেহগুলো
নতুন পৃথিবী জন্ম দিয়ে গেছে ।


এখনও অভিজিতেরা বেঁচে আছে
ওয়াশিকুর এখনও হেঁটে যায় ধর্মান্ধকে ধর্ষন করে
এখনও সিরাজদ্দৌলার তীব্র সুরায় ভাসে
শ্বেতাঙ্গ শকুনির রক্ত যৌবাক্ত সমীকরণকে ছিঁড়ে খাওয়ার স্বপ্ন ।


তাই এসো, আবারও এক একটা কবিতা হোক
অকৃত্রিম পলাশের বসন্তে একটু ব্লগিং হয়ে যাক ।