(১)


একটা ছেলে রাস্তায় ধূলো মাখত,
ঘুরে বেড়াত,
সন্ধ্যা নামলে মা'র স্নেহআহ্বানে
পল্লির বঙ্কিম গলি বেয়ে ছুটে আসত
মায়ের কোলে ।
লন্ঠনটা জ্বলে উঠত,
ছেলেটা পাঠ করত কত পড়া ।
গ্রীষ্মের রাতে আঙিনায়
মৃদুমন্দ বাতাস, মা'র ঘুমপাড়ানি গান,
রুপকথার গল্প..................
ছেলেটা প্রশান্ত হয়ে যেত,
নিথর হয়ে যেত মা'র কিংবা
দাদু-দিদার কোলে ।
তার মন ছুটে চলত সেই
রুপকথার রাজকুমার, কোটালপুত্র,
পখখীরাজঘোড়া, ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী..............
  
(২)


সেই ছেলেটা আজ কোথায় ?
সরণির ধূলির হৃদয়ে কচি পদচিহ্ন
কোথায় হারিয়ে গেল ?
সে আর পড়েও না,
লন্ঠটাও হয়তো নিভে গেছে !
- না না সে বিনিদ্র কত রাত ধরে ,
তার আবছা আলোকধারা আমার
হৃদয়ের নিভৃতে বিনিদ্র
স্বপ্ন-ভাবনারা আমার প্রেরনা ।
সেই ছেলেটা লন্ঠনের চতুর্দিকের
আবছা আঁধারে দাঁড়িয়ে
হাসছে, খেলছে আর আমি,
আমি কাঁদছি ডুঁকরে ডুঁকরে ।
'সে' আমি,
  'সে' আমার ছেলেবেলা,
  'সে' আমার অনড় অখখরমালা,
  'সে' আমার রক্তের R.B.C , W.B.C..............


(16/11/2010)