মা ডাকে-"ওরে রাখাল আমার !
হয়েছে সবে ভোর,
যাবি মাঠে, অনেক তো কাজ
খোল না এবার দ্বোর ।"


"ধেনু গুলো যে ডাকছে সবে
  নিয়ে যা তাদের মাঠে,
দা নিয়ে যা কাটবি রে ঘাস
ঠাকুরপুকুর ঘাটে ।"


রাখাল বলে -"দাও মা বেঁধে
সেদ্ধ ছোলা মুড়ি,
থাকতে হবে পলাশের বনে
সারাটা দুপুর ভরি ।"


রাখাল বালক ছুটে ছুটে যায়
অগ্রে ধেনুর দল,
প্রান্তর মাঝে, পলাশের বনে
রোদ্দুর ঝলমল ।


তালপাতা দিয়ে কলিকা বনায়ে
বসে বসে গাঁজা খায়,
কখনো কখনো লাঠি নিয়ে হাতে
ধেনুর পেছনে ধায় ।


জলের ধারেতে কত কচি ঘাস
ঠাকুরপুকুর ঘাটে,
ধেনু পানে চায় ঘাস কেটে যায়
দা নিয়ে এক হাতে ।

শিরোপরে রবি, আমি বসে কবি
দুপুরের অবসরে,
থেকে থেকে বাজে রাখালের বাঁশি
চেনা দুর প্রান্তরে ।


মাথায় নিয়ে ঘাসের বোঝা
ফিরছে রাখাল ঘরে,
মাঠ-বন ডাকে-"ওরে ও রাখাল !
আসবি আবার ফিরে ।"


জামের ছায়েতে আঙিনায় তাকে
ক্লান্তি ঘিরে ধরে,
বিকেল ফুরায় আকাশের রবি
যায় যে দূরে সরে ।


রাত্রি নামলে ছোট্ট কুঠিরে
খড়ের বিছানা পরে,
শুয়ে শুয়ে কত আলোরঙ মাখা
স্বপ্নের হাত ধরে !


ভোর হয়ে আসে স্বপ্ন ফুরায়
রাত্রি কেটে যায়,
ওই তো দেখো রাখাল বালক
মাঠের পানেতে ধায় ।


মাঠ-বন তারে ডাকছে আদরে-
"আমার রাখাল আয়,"
রাখাল বালক ধেনু নিয়ে চলে
রোদ মেখে খালি গায় ।


-(10/03/2013)