মাথার ওপরে গনগনে রক্তজবার মতো সূর্য,
খরতাপে -পুড়ছি অনন্তকাল,
বজ্রমুঠি উত্তাল জনতার রক্তচক্ষু মিছিলের দাহ,
পদাঘাতে - প্রকম্পিত চাতাল,
কালের সাক্ষী হয়ে ঠাu&ই এই আমি -
দেখেছি কত - তারুণ্যের প্রলয় নাচন,
শুনেছি- নিষ্পাপ মুখের  সত্য ভাষণ,
জ্বেলেছি- কোমল বুকে চেতনার আগুন,
প্রবাহিত অক্সিজেনে ছড়িয়েছি বাঁচার ধুন।
কি, চিনতে পেরেছ আমায় ?


ভীত হয়েছি আমি কখনও -
শাসকের বুটের দম্ভাঘাতে,
নির্যাতিত হতে দেখেছি সেখানে -
প্রeÂকের মিথ্যে ছলনাতে,
åæকুটি করেছে কত-শত -
লেবাস আuটা ভদ্দরলোকে,
কন্ঠনালী রুদ্ধ করতে চেয়েছে -
পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর হাতে,
শাড়ী-ওড়নার রশি টানাটানি-
সম্ভ্রম হারা দিগভ্রান্ত নারী,
এ সবের সাক্ষী আজও এই আমি।
এখনও চিনতে পারনি ?


বৃষ্টির মতো ঝরতে দেখেছি কার্তুজ,
ছুটে আসা টিয়ার শেলের ধোuয়ায়,
নিঃশ্বাস নিতেও বড় কষ্ট হয়েছে, মা -
তপ্ত পিচঢালা পথে উপুড় হয়ে বাঁচার আকুতি,
জনসমুদ্রে পদপিষ্ট হয়েছে লক্ষ প্রাণ,
বিuধতে দেখেছি গুলি ছোÆ ঐ বুকে -
তাজা রক্তে ভেসেছে জনপদ,
উদ্দাম নৃত্যে খেলেছে হোলি,
প্রজন্মান্তরের দর্শক করেছ আমায়-
তবুও বলিস - চিনতে পারছি না ।



আর কত বলি দিবি আমার বুকে ?
কত রক্ত ঝরিয়ে পবিÎ করবি এই বেদি ?
আমি কি কসাইখানা ?
চারপাশে রক্তের ছোপছোপ দাগে -
আমিও ভুলে গেছি আমার ইতিহাস,
প্রাগৈতিহাসিক কালজুড়ে গৌরবগাঁথা,
যে আuতুড়ে জন্মেছে কত সালাম,
বরকত, নূর হোসেন আর অগ্নিকন্যা।
চন্দন কাঠের চিতাও সাজাতে-
নির্লজ্জতায়- মুখ লুকিয়েছি আমি।
এবার বল্& , চিনতে পারিস আমায় ?


আমি এখন বিদ্রোহ করতে শিখেছি,
তোদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শিখেছি,
অঝোর ধারায় শিলা ঝরিয়ে মুন্ডyপাত করতে শিখেছি,
হ্যা,  হ্যা, আমি বিক্ষুব্ধ শাহবাগ বলছি,
যার বুকের ঊষর জমিন-
তোরা নোনা রক্তে সরস করেছিস।
আমি শাহবাগ বলছি,
আমি শাহবাগ থেকে বলছি ।।।


রাত ১০ টা
২১.১০.১৮