এই শহর আজ মৃত্যুপুরী -
হাতছানি দিয়ে ডাকছে শবযান,
বাচার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম -
জীবন আজ বড় অর্থহীন।


দানবরুপী এক একটা শকট -
ধেয়ে আসছে আমার পানে-
ছুটে চলেছি রুদ্ধশ্বাস গতিতে,
এ যেন অনর্থক তেপান্তর যাত্রা।


    পিষে চলেছে লক্ষ কন্ঠনালী,
  বুকের লোহিত রক্তে জন্ম নিচ্ছে -
    স্বাধীন বাংলার অযুত শশীর,
অথচ নেই কোন সবুজ গালিচার আবরণ।


তপ্ত তপনতলে উড়ছে শকুনের দল,
শ্যেন চাউনি আর লকলকে জিহব্,
চুম্বনের লালসায় উন্মত্ত-
প্রসারিত ডানায় ছুটে আসে ব্যবচ্ছেদে।


শহরের মানুষগুলো কী নির্বিকার !
বরফ শীতল দৃষ্টিতে অপেক্ষা -
স্বজনের লাশ নিয়ে ঘরে ফেরার,
এ যেন মৃত্যুর মিছিল।


কারও কোন অভিযোগ নেই,
খুব স্বাভাবিক কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা,
ভাত আর ভোটের হিসেব মিললে,
তবেই এর সমাধান হবে।


এ যেন সারমেয় হায়েনার-
লাশ নিয়ে টানাটানি,
শুধু কিছু সময় অপেক্ষার-
কফিনবন্দী করবার হাড় জোগার।


বাবার গুমড়ে ওঠা চাপা আর্তনাদ,
অশ্রুত নয়নে মায়ের শূন্যদৃষ্টি -
ভাষা হারানো কবিতাগুচ্ছের মতো-
অরুণ-তরুণের বুকে সপাং সপাং চাবুক।


এ ভাষা বোঝেনি শাসক-পোষক,
বুঝল -কেবলি অরুণোদয়ের অগ্নিমানব,
শত চোখ রাঙানি ধুলোয় মাত-
করছে-করবে ঘুণপোকাদের মুন্ডুপাত।
০৫.০৮.১৮