মাত্র কিছু টাকা দিলে যাবে আমায় কেনা
হাজার মেয়ের মাঝে আমায় সহজে যাই চেনা
কখনো বা দাম বাড়িয়ে মান ইজ্জত সব হারিয়ে
বিকায় আমার দেহ থাকি আমি যে আনমনা
বিকাই আমার জান বিকাই আমার মান
আমি আজ বারবনিতা আমি বারাঙ্গনা
দিনের শেষে কাজের পরে
দেখি সব মেয়েরা ফিরছে ঘরে
আমার তখন কাজের শুরু রঙিন হলাম আমি
অনেক আমি হিসাব করে
বাজার থেকে সস্তা দরে
নিজেকে শুধু বেচার তরে মাঝ রাস্তায় নামি
পানের দোকান চলত বাবার
শুধু দুপুর রাতে জুটতো খাবার
তবু আমার ই দুটি চোখে স্বপ্ন ছিল ভরা
মনে পড়াশুনোর ইচ্ছে ছুটে
শুনেছি পড়লে ভালো চাকরি জুটে
ভেবেছিলাম স্বপ্নটা কে সত্যি যাবে ধরা
দিদি আমার ভীষন কালো পেয়ে কপাল গুণে পাত্র ভালো
যা কিছু ছিল সব হারিয়ে বাবা দিদির বিয়ে দিলে
গরিবের আবার ভাগ্য নাকি পনের টাকা অনেক বাকি
দিদি কে তারা তুলবে ঘরে পনের টাকা পেলে
হটাত করে আমায় ফেলে বাবা আমার গেল চলে
চোখের জলে নিভলো আগুন এলাম দিদির বাড়ি
মরলো দিদি আগুনে পুড়ে গেল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরে
এই দুনিয়ায় একলা আমি সবার সাথে আড়ি
চাকরি দেবার গল্প দিয়ে
দিদির বর আমায় নিয়ে
বেচলো আমায় গলির মাঝে পেল কযেক হাজার টাকা
শুতে হবে বাবুর সাথে
সবাই এসে যাবে লুটে
বিনিময়ে মিলবে টাকা মিলবে খাওয়াথাকা
আজ এভাবেই জীবন চলে
স্বপ্ন পুড়ে আগুন জ্বলে
পথ হারানো ক্লান্ত পাখি
নিজের সাথে একলা থাকি
"অন্ধ কানায় পথের ধারে
গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে"
জীবন আমার গেছে পুড়ে
বুকের মাঝে রক্ত ঝরে
নিয়ে যাব আগলে করে একটুকু মান বাঁচার তরে
শুন্যতা কে সঙ্গী করে ফিরব আমি শূণ্য ঘরে