রুগ্ন ঘরের পোশাকে, দূর্বল আলো।
               আজকাল বাতিদের সাথে লড়াই করে,
আমার পা পিছলে যায়।
               ঘুমের ভিতর, মনের ভিতর, চোখের ভিতর
সমস্ত আলোতে, কালো পর্দা ফেলেছি।


কড়িকাঠের ঘুন-বাঁত, সিলিংফ্যানের হাঁপানি,
                ভিতরকার রোগীটাকে প্রশ্রয় দেয়।
রুপোলী থালায় সাজানো, কেমিক্যাল আভিজাত্যের চেয়ে,
                শানকি ভরা দুমুঠো খই,
তাৎপর্যে অনেকটা ভারী মনে হয়!


ঝরাপালকে চিত্রিত, ধূসরপাণ্ডুলিপি হাতে,
               রাজরোগীর দুয়ারে কড়া নাড়েন—
মহাপৃথিবীর বনলতা সেন।
শিশিরস্নাত কাশবনে, বিরুৎ তুলোর তোড়া হাতে,
                আর্দ্র কণ্ঠে ডাকে বারবার—
আর্ত শ্যামলী কাহার।


সেসব কি বুঝবে আমার রোগ?
              বুঝবে এই সংক্রামক বিছানা?
              বুঝবে কি, আমার অসুস্থ দশ ফুট বাই বারো?


নাহ্! ওদের মৃত্যুভিতের
                               আঠাশ দিনের,
                 আয়ু ফুরিয়েছে!


তাই ভেবেছি, পিঁপড়েদের সাথে বাসা করবো।
শুনেছি, ওদের অসুখে সংক্রমণ নেই!