হে বঙ্গমাতা,
আমি তোমার বঙ্গ সন্তান বলছি-
তোমার মাতৃ স্নেহে বেঁচে আছি আমি
হাজার হাজার বছর ধরে বংশানুক্রমে,
তোমার বক্ষে বয়ে চলা নদীর জলে তৃষ্ণা
মিটাই আমার পিপাসিত গলে;
তুমি বাঁচিয়ে রেখেছো বঙ্গমাতা পরম মাতৃ
স্নেহে, হাজার বছর ধরে।


তোমার সবুজ প্রকৃতির ছায়াতলে বেড়ে
উঠেছি আমি ক্ষণে-ক্ষণে,
তোমারই আলো-ছায়া, দখিনা বায়ু আর তোমার
পরশ মিশে আছে আমার সারা দেহ জুড়ে,
হে বঙ্গমাতা, তুমি আছো আমার হৃদয়ের
গহীনে, আমার অস্তিত্বে।


হে বঙ্গমাতা,
আমি তোমার বঙ্গ সন্তান বলছি-
তোমার পরম স্নেহে লালিত বঙ্গ সন্তান
আজ লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অপমানিত ;
প্রত্যহ বেদনার অথৈ জলে হয় প্রবাহিত।


হে বঙ্গমাতা,
আমি তোমার বঙ্গসন্তান বলছি-
আমি আজো ধারণ করে আছি তোমার
অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে,
তাই তো আমি বেঁচে এখন  অপমান আর
বেদনার চোখের জলে।


আজ আমার অধিকারটুকু নেই তোমার কাছে,
হায়েনার দল সব নিয়েছে কেড়ে;
আমার বিশ্বাস, আমার গৃহ-মান, আমার
অর্থ-কড়ি আর মননশীলতা- সবকিছু আজ
লৌহিত্যধারার দক্ষিণ তীরে আত্ম বিসর্জনে
কাঁদে, সীমান্তের ওপারে।


রচনাকাল: ১৬ই জুন, ২০১৭ইং