ঈশ্বর আছেন কি নেই - এ নিয়ে অন্ত নেই বিতর্কের
সমাধান হয়নি আজো, তাই এখনো শান্তি আসে নি জগতে
তবে গনিতে রয়েছে এর সমাধান, খুব সহজভাবে
যদিও বুঝে উঠতে পারা অনেকের জন্য একটু জটিল হবে।


ঈশ্বর আর সংখ্যা সমার্থক বলেই মনে হয়
যেমন, শুরু করা যাক শূন্য দিয়ে, তারপর এক, দুই, তিন, ...
এমনি করে অসংখ্য, অসীম, সীমাহীন


ঈশ্বরও তেমন ...
ঈশ্বর শূন্য - অর্থাৎ এ জগত ঈশ্বরহীন, নাস্তিকের ঈশ্বর
ঈশ্বর এক ... অর্থাৎ একটাই ঈশ্বর, দ্বিতীয় নেই তার
ঈশ্বর দুই ... অর্থাৎ ঈশ্বর দুটো - যেমন একজন প্রকৃতি, অন্য জন্য পুরুষ
ঈশ্বর তিন - অর্থাৎ ঈশ্বর তিনজন - যেমন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর
অথবা যদি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উদাহরণ টানো তবে তা হবে
creation operator, annihilation operatorএবং conservation operator
এমনি ভাবে এগোতে থাকলে ঈশ্বর চারও হতে পারে,
হতে পারে পাঁচ, ছয়, ...অসীম...


কেউ কেউ বলবে, তা কেমন করে হবে?
নাস্তিক, আস্তিক, একেশ্বরাবাদ থেকে শুরু করে ঈশ্বরের অসীমবাদ ... মানা কি যায়?
গনিতের সহজ সমাধান - ঈশ্বর ঈশ্বরহীন, অথবা যেমন ইচ্ছা তেমন সংখ্যা ঈশ্বরের
তবে মেনে নেওয়া সবার পক্ষে অতিশয় কঠিন!


যে নাস্তিক সে কেমন করে মানবে ঈশ্বর আদৌ থাকতে পারে?
যে একেশ্বরাবাদের সংস্কারে আচ্ছন্ন, সে কেমন করে নাস্তিক বা বহু বাদী তথ্য মেনে নেবে?
যে বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, সে কেমন করে নাস্তিক অথবা একেশ্বরাবাদকে মেনে নেবে?
গনিতের সূত্রে ঈশ্বর পারেন সমস্তরূপে আভির্ভূত হতে, কিন্তু ভক্ত বা অ-ভক্তেরা পারেন কই তা মেনে নিতে?


গনিতে সমাধান মানলেই হতো সমস্ত বিবাদ ও বিভেদের অবসান
সবাই স্বীকৃতি দিতো পরস্পরের চিন্তাধারার
কেউ চাপাতো না নিজের বিশ্বাস বা অবিশ্বাস জোর করে অন্যের উপর
পারস্পারিক বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের প্রতি সবাই হতো শ্রদ্ধাশীল,
চারিদিকে শান্তি থাকতো সর্বদা, মুক্ত হতো সবাই
কেউ আর "আমার ধর্মেই একমাত্র শান্তি বা মুক্তি বলে" চিৎকার কিংবা যুদ্ধ করতো না।


সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে মানুষের কত গৌরব
অথচ এই পৃথিবীকে কলুষিত করে মানুষই
ধর্মের শ্রেষ্ঠতার নামে, সত্যে বিশ্বাসের নামে বপন করেছে সাম্প্রদায়িকতা ও হিংসার বিষবৃক্ষ
সম্প্রদায়, উঁচু-নীচু জাত-গৌরব অথবা ধর্মের অহংকারে
কম হয়নি হানাহানি, মুন্ডচ্ছেদ, শ্লীলতাহানি এবং নারীর অবমাননা


এর সবই চলছে এখনো, হয়ত চলবে অনাদিকাল
মুক্তি কোথায়? শান্তি কোথায়? মানবতার ধংস এবং শূন্যতায় মিলাবার পর?