আমার ডায়েরির দ্বিতীয় পাতায় তোমার নামটি খুঁজে পাবে,
প্রথম পাতায় নিজের নাম আর ঠিকানায় শেষ করে ফেলেছি বলে।
তোমায় নিয়ে লিখা যত পদবিন্যাস তা যেকোন কবি-র
কবিতাকেও হার মানলে অবাক করার কিছু থাকবে না।


প্রেমের অগ্রভাগে তোমায় নিয়ে যত ভাবনা,আকর্ষণ,
অনুরাগ-পছন্দ সবই লিপিবদ্ধ আছে ডায়েরির; তৃতীয়,চর্তুথ ও পঞ্চম পাতায়।    
এরপর;এরপর পরিচয়-বিনয়,বন্ধভাব প্রনয়ে গড়া,
আমার ডায়েরির ষষ্ঠ ও সপ্তম পাতা।


তারপরের-পাতা খুললেই আজ-ও লজ্জিত হয়ে
একটুকরো মুচকি হাসি জেঁকে বসে মুখে,
ঠিক ধরেছো;ওই-দিন তোমাকে কাঁপা-কাঁপা কন্ঠে
একগুচ্ছ গোলাপের সুগন্ধি নিয়ে ভালোবাসি বলেছিলাম।
মনে পড়ে? মনে পড়ে-প্রতিত্তোরে বলেছিলে;আমিও নাকি তোমার
কল্পনার জগতে সেই প্রিয়তম।
মনে আছে তোমার? মনে আছে; তোমার দেয়া গোলাপ আর তোমার লেখা চিঠিটার কথা!
তোমার দেয়া সেই গোলাপ আজ ডায়েরির ভাঁজে লুকিয়ে কালো আকৃতি ধারণ করেছে,
তাই বলে ভেবোনা আমার প্রিয়ায় প্রতি ভালোবাসা কালো রং জমেছে।


ডায়েরির মধ্যভাগের পাতাগুলিও তোমার কথা বলে জানোতো!
আচ্ছা মনে পড়ে কি তোমার! সেই-দিন; বিবাদে লিপ্ত হয়ে যখন তুমি রাগে গরগর করছিলে,হটাৎ;হটাৎ
মেঘলা আকাশ তোমার মেঘলা মনকে যে এ-তো প্রফুল্ল করবে,তা জানা ছিল না,
মনে পড়ে?
তারপর তুমি আমার হাতটা এদিক ওদিকে করছিলে,
হটাৎ বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে বলে তুমি আমায় জাপ্টে ছিলে আর তোমার গোলাপি কাঁপা ঠোঁট নেড়ে কিছু বলেছিলে,
মনে কি পড়ে না তোমার?        


ডায়েরির ভাঁজে আজও লুকিয়ে আছে তোমার দেয়া মোট সত্তর-খানা চিঠি,যদি-ও..            
তোমার দেয়া অন্তিম চিঠিটা আজও পড়া হয়ে ওঠেন।


ডায়েরির শেষের বেশ কিছু পাতা আজ-ও নিজেকে কাঁদায়,
তবে..একা কাঁদি না ডায়েরি-টা আমাকে ভীষণ ভালো সঙ্গো দেয় জানোতো…।
জানিনা ভুলটা কার-ই বা ছিল হয়ত তোমার নয়ত-বা আমারই।
তবুও পরিশেষে বলি;
"ভালো থাকুক ভালোবাসা,
স্মৃতি থাকুক তোমার-ই,
ভুলিনি আজও তোমায় জানে আমার লেখা ডায়েরি।"