আজব যন্ত্রণা


মানুষের বুঝি
এতই পরিবর্তন সম্ভব?
তোমাকে দেখে বুঝেও বিশ্বাস হয়না।
এটাই হয়তো অন্ধ ভালোবাসা।


আবার,
নিজেকে সমঝদার অন্ধ বুঝেও
খুব খারাপ লাগে,
জানো? বুঝো সেটা?


কি যে করি!
এ বেচেঁ থাকার
আজব যন্ত্রণাটি যদি পারতাম,
তোমাকেও অনুভব করাতে!


জানি তা সম্ভব নয়।
তুমি মানুষ হলে হয়তো তা হতো,
তুমি তো আর মানুষ রইলে না।


মানুষ হলে তো একের পর এক
ভালোবাসাকে খুন করে পালাতে না।


আচ্ছা, ঠিক আছে,
ধরেই নিলাম,
এটা তোমার অসুস্হতা।


আচ্ছা বলো তো,
অসুস্হ মানুষের কি
কোনো অপরাধ হয়?


সেজন্যেই বোধ হয়
তুমি আমার কাছে না চাইতেই
ক্ষমা পেয়ে যাও।


নিজের এ অন্যায় ক্ষমাশীলতাকে
মাঝে মাঝেই আমি নিজেও
ক্ষমা করতে পারি না।


হয়তো আমিও অসুস্হ।
তুমি এক প্রকার
আর আমি অন্য প্রকার।


আমরা দুজন অসুস্হ
মানুষ কি একে অপরকে
শেষ বয়সে বা মৃত্যুর আগে
ক্ষনিকের জন্য পেতে পারিনা?


উহ্!
আবার তোমাকে পাওয়ার
ভাবনাও যেমন ঘৃনার,
ঠিক তেমনই
তোমাকে না পাওয়ার
বেদনাও যেন সমান আকুল।
এটাই হয়তো অন্ধ ঘৃনা।


আমি তোমাকে যতটা ভালোবেসেছি
হয়তো তার চেয়েও বেশী ঘৃনা করেছি।
নাকি উল্টো? বুঝতে পারিনা।


কি করি!
অস্হির সময়ে তাই
প্রলাপে ভেসে বেড়াই।
সবাই শান্তনা আর
নানান উপদেশ দেয়,
তাও আবার পছন্দ হয় না।


শুধু তোমাকে আবার দেখবো
বলেই বড় বাচঁতে ইচ্ছে রবে!

আজব থেকে আজবতর অস্হিরতা
সংযমের বাইরে যা ক্ষনকালে বহতা!