জানি, বিধাতা বড়ই কৃপণ!
বিছানায় শুয়ে রাত্রির অন্ধকারে
দেবতার কাছে যে অসম্ভব বর মাগি,
সে বর আমি পাবো না।
যদি নেমে এসো আমার সমতলে
জেনো, আমি আরও একা হয়ে যাবো।


হায়রে সামান্য মেয়ে!
হায়রে বিধাতার শক্তির অপব্যয়!
অন্তর মম বিকশিত কর, মুক্ত করো গো বন্ধন!
কাপোঁ ছন্দ, ভালো মন্দ, নাচো জন্ম- মৃত্যু
নাহয় শোনাও, মরনের কথা, মোর দুটি হাত ধরে!


বৃষ্টিনেশা ভরা মাতাল হাওয়ায়,
হৃদয়ে শূন্যতা ছাড়া কিছু পাই না
ঝরা বকুলে আজ সুগন্ধ বিলীণ প্রায়
শব্দ যেখানে শেষ, সুরের তো সেখানেই শুরু
মাঝে মাঝে নিজেকে লক্ষ্যবিহীণ অর্জুণ মনে হয়
বুকের নিভৃত থেকে উঠে আসে অরণ্য পিপাসা
উত্তরের হিমেল মেঘে ভাসে দূরের দক্ষিণ সমুদ্রের জলচ্ছাস
মহাভারতের অমৃত সমান কথা শুধু পূণ্যবাণেরাই শোনে
জীবনে একক ভাবে অকৃপণ বিধাতা কাউকেই সুখ দেন না
যার যার জীবন সংগ্রাম তাকেই করতে হয় আর,
প্রেমের শোক যখন আসে,তখন,
তেপান্তরের ধূ ধূ বালির মাঠ খুড়ে জেগে উঠে
এক পুকুর জল!