দিশার পথ নাকি
পথের দিশা?


অভিশপ্ত ইডিপাসের আত্মান্ধতায়
উদ্বুদ্ধ এক পথহারা পথিক,
তাজমহলের কারিগরদের হত্যা,
কিংবা খনার জিভ বা
ভ্যানগগের কানকাটার মতই
খুঁজে কঠিন উপায়।


সে গল্পটা ছিলো এরকম:
বন্দরে আশাবাঁধা সারেং বৌয়ের
চোখের জল স্পর্শেনি সে সময়!
সওদাগড়ের পোষা ইচ্ছেরা হারায়,
ফল নয়, প্রতিফলনেই কাটায়!


দুদ্ধশিশুর চিৎকারে নিশ্চুপ হৃদয়;
ছোঁয়না প্রিয়ার অশ্রু বিদায়!
তাৎক্ষনিক জাহাজ বা উড়োজাহাজের
তাড়ায় বা উসিলায়,
অবহেলে ঠেলা দায়ভার,
কালের বিবর্তনে জোগায় শক্তির আঁধার।


সিঁড়ির উপর থেকে তাকিয়ে দেখা,
ভুলের ধাপে প্রিয়র নেমে চলা;
পিছু ডাকেনা অমঙ্গলের ভয়ে;
থাকুক সে অবুঝ বহুদূরে;
নাহয় নিজেই ভাসুক অমঙ্গলে!


সতেরো থেকে সাতাশেই
জমানো আর হারানো প্রেম,
বিশ্বাস আর ভরসার মূলমন্ত্র;
কখনও খুঁজেনা আর যত্র তত্র।


উত্তর বোঝেনা দখিনের হাওয়া
সওদা ভাসে নিত্য ললনায়;
প্রজন্মের দায়ে বাড়ে জগতের হাহাকার !


দুচোখে শ্রাবনের মেঘ বুঝেনা বসন্ত বিলাস!
বিশ্বায়নের চারদেয়ালে চলে তার সহবাস!
হয়তোবা দিগ্বিদিকের জনারণ্যে,
মুখবইয়ে ভাসা ক্লিকের স্পর্শে।।