ঘাসের মাঠে একদা নীল অপরাজিতার বাস
ঘাস ফড়িং সে ফুলে মেটায় প্রেম অভিলাষ,
প্রেম সঞ্চালনে অঙ্কুরোদগম রটায় বংশধারা
যেন দীপ্ত স্বপ্ন মহিমায় আকুল পাগল পারা।।


জীবন যখন অগাধ অকূল অপার অবস্হানে,
অমোঘ মোহে অপরাজিতা বিদগ্ধ বিতাড়নে।
এতটা ঘৃণা কখনও বুঝেনি কিভাবে সামলায়
পূর্ণিমা যেভাবে অমাবস্যায় পৃথিবী বদলায়।।


অপরাজিতার তৃষ্ণায় ফড়িং যখন অন্যকে জলদানে মগ্ন
তখন বাচাঁর তাগিদে সে প্রজাপতিতে হয় নিমগ্ন।


প্রেমের শোক মন নাড়ায়
তখন তেপান্তরের মাঠে মন হারায়
ধূ ধূ বালুচরে আশা জাগায় মরিচিকার জল
ক্লান্ত শ্রান্ত প্রেমনদী কপোতাক্ষে জ্বলে অনল।


যদি পরাজয়ে ডরায় অপরাজিতা
নামকরনের সার্থকতাই থাকে না;
তাই রুদ্ধ প্রাণের কল্লোলে কবিতা বহমান
বুক ফাঁটে সে লিখায় তিক্ত দুখের কলতান।


নীপে নীপে ঘুচে ভাসমান
শিহরণ স্পন্দন,
নীলিমা নিমগ্ন আকাশে মেঘ
যেন উড়ায় নিশান কম্পন।।