নব সভ্যতার রচনা


জানবে তুমি বন্ধু আমার!
শুনবে একটু গল্পগাথাঁ?
আমার একসময়ের
খুব কাছের বন্ধুর কথা?


একদা কোনো এক সন্ধ্যায়,
যখন বেলা শেষের পথিকের হতাশা বাড়ে,
একে একে সে  বলে গেলো তার সব দুঃখগাথাঁ!


একটা সুখের কথাও ভুলেও বলনি সে!
হয়তো সুখগুলো তার একান্ত অনুভূতি,
আর যে দুঃখগুলো তার প্রতি ছোড়া হয়েছিলো,
তা ছিলো পথে বসে কাঁদার মতো অসহ্য।


যেখানে পথের নেই কোনো শেষ!
শুধুই রযে যায় একরাশ রেশ।
যা থেকে সৃষ্টি হয় ভিন্ন নতুন পথ
শুধু বয় মেঘ থেকে বৃষ্টির কান্নার মাতম।


আমিতো আর সুখের ফেরিওয়ালা নই,
দুঃখের বিনিময়ে তাকে সুখ দেবো,
একটা সময় ছিল
যখন পথে পথে দুঃখ কুঁড়িয়ে
হাতে হাতে সুখ বিলাতাম,
এখন সে ক্ষমতাও যে হাড়িয়েছে!


এইতো সেদিনও তৃতীয়বার লুটপাট হল,
বিন্দু বিন্দু করে জমানো হৃদয়ের সব ভালোবাসা।
এখন সেখানে পরে আছে স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ
পড়ে আছে অমিমাংসিত জীবনের হাহাকার!
ঠিক সেখানে চোখের সামনেই গড়ে উঠলো
তার নতুন স্বপ্ন সভ্যতা বিশেষ!


সেখানে আর, ডালের বড়ির মতন স্বপ্ন
শুকিয়ে রাখলেও, কেউ ঘরে ফেরেনা...
এমনকি তার জীবন্ত লাশ ও!


ফেসবুকের পাতায় পাতায় দুখের রক্ত নিংড়ে
লিখা হয়, হারিয়ে যাওয়া কাব্য।
কেউ বলে ভুলে যাও,
কেও বলে বিধাতা দেবেন প্রতিদান;
সহানুভূতির ফুল নিয়ে একে একে অনেকেই আসে,
শুধু সে কখনও আসে না।।