নন্দীগ্রাম,তোমাকে নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই , সমালোচনার চেষ্টাও নেই
তোমাকে নিয়ে লেখার মতোও আমার কিছু নেই
যা লেখার তা তো অনেক আগেই লেখা হয়েছে
আমার মায়ের বুকে
আমার ভাইয়েরই রক্তে
এক নতুন কাব্য।
সে লেখায় হাত দেবার মতো যোগ্যতা , ক্ষমতা
অথবা সাহস কোনটাই আমার নেই।
আমি শুধু পড়ে চলি সে কাব্য গভীর রাতে
পড়তে পড়তে ক্লান্ত হলে শুয়ে পড়ি মাটির উপর
                                  আর গুণতে থাকি দূর নক্ষত্রলোকের তারা
আমি গুণি এক দুই তিন চার
ভুল হয়। নতুন করে শুরু করি আবার ।


প্রতিদিন দেখি নতুন নতুন তারা
কোথা থেকে আসে আমি কিচ্ছুটি জানিনা
তাই ভুলবশত জিজ্ঞেস করে ফেলি -
কোথা থেকে এলি?
খয়রাশোল, গোয়ালতোড়, বিজপুর
নাকি দন্তেওয়াড়া
নাকি আমার মায়ের গাঁ
নাকি আমার কোন অজ্ঞাত ঠিকানা থেকে?


প্রশ্ন করতে করতে আমার অভ্যেস দাড়ায় মুদ্রাদোষে
আমার প্রশ্নেরাই প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এলে স্পষ্টত দেখতে পাই
কেউ কেউ মুখ বুজে আছে, কেউ মুচকি হাসি হাসছে
আর কেউ কিছু বলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে অজ্ঞাত কারণে
এরপর ক্লান্ত হলে সব জিজ্ঞাস্য ভুলে গল্প জুড়ে দেই তারাদের সাথে -
না না ভুল হল, আমার নিজেরই সাথে
এক শরীরে অনেকজনের বাস - কে না জানে ।
নিজের সাথে গল্প জুড়েই ভুলে যাই তারা গুণতে।
তখন আবার প্রশ্ন জাগে-
পৃথিবীর সব রঙ কি এক হয়ে যায় তারা হয়ে গেলে?
বেশ পাশাপাশি বসা যায় ষড়রিপুর আঁকা সব ছবি ভুলে ?
তবে কি আমারাই শুধু মেতে আছি লাল সবুজ আর কিছু
মনগড়া রঙে ?


ভুলে যাই , ভুলে যাই
ভুলে যাই আমি তারা গুণতে
ক্লান্ত হয়ে পড়ি , আর ভাবি আমিও একদিন তারা হয়ে যাবো
                          হঠাৎ  করে
আমাকেও গুনবে কেউ চিত হয়ে শুয়ে
                           এই পৃথিবীর 'পরে ।