আক্ষেপ
..........................................
দুটো গান লিখা হল দেয়া হল সুর
সুর কবে পুড়িয়ে খেল অভাগী রোদ্দুর ।
মেঝেতে বিছানা ছিল, ছিল অলস দুপুর
ভাতঘুম খেয়ে নিল রাস্তার কুকুর।


হেমন্তের স্বপ্ন ছিল, ছিল চাঁদের আলো
শহরের কাক চুপিসারে আমায় খুবলে খেল।
গোলাপের চারা ছিল ,ছিল রজনীগন্ধা টগর
সব বন্ধ্যা করে দিল জীবনের কামুক ভ্রমর।


ফাঁকা রাস্তা ছিল, ছিল শান্ত শহর
একদিনে ধ্বংস করলো বিদেশী যাযাবর।
প্রেমের কবিতা ছিল, ছিল গল্প উপন্যাস
ঘুন পোকার মনের সাধ করলো সর্বনাশ।


বুক পকেট ছিল, ছিল হিসেবের কাগজ
ন্যাংটো সমাজ বুঝিয়ে দিল বেঁচে থাকা নয়কো সহজ।
ফাল্গুনী পূর্ণিমা ছিল, ছিল ভোরের আকাশ লাল
হাজার কবিকে পুড়িয়ে খেল ঘরের বাড়ন্ত চাল।


                   মুখপুড়ি
............................................................
আজ দেখলাম এক অষ্টাদশী মেয়ে
গলায় ওড়না জড়িয়ে দোল খাচ্ছে গাছের ডালে
দোল খাচ্ছে সে পরম সুখে শান্তির ছায়ায়
অমাবস্যার রাতে বসন্ত হাওয়ায়।


মেয়েটির খুব স্বপ্ন ছিল মনের মানুষ পাবে
তার জন্যে সে এক পৃথিবী ছবি এঁকে দেবে
অলীক সুখে স্নাত হবে রোজদিন
সেদিন হোক না যতই মেঘকালো বা প্রজাপতি রঙিন।


আজ গাছের ডালে ঝুলে সব স্বপ্ন পূরণ হল তার
সে আজ পাড়ায় পাড়ায় গুজবের স্টার ।