যদি মৃত প্রেমের শ্মশান যাত্রা হত
................................................
যদি মৃত মানুষের মত মৃত প্রেমেরও শ্মশান যাত্রা হত
মুখাগ্নি হত ঘাটের কাজ হত তাহলে হয়ত
মৃত প্রেমের জন্যে মানুষের মনে এত মায়া পরত না।
বল হরি হরিবোল আর খই ছড়ানোর দৃশ্যে
মন স্পষ্টত বুঝতে পারত তার ঘরে আর প্রেম নেই
           প্রেমের জন্যে ভাত বাড়বার প্রয়োজন নেই
           একসাথে শুতে যাবার প্রয়োজন নেই
            খুনসুটি করবার প্রলোভন নেই
            অযথা ঝগড়াঝাটিরও কারণ নেই।
যদি সত্যিই তেমন হত
যথাসম্ভব শ্রাদ্ধের নিয়ম কানুন মন ঠিক সেরে নিত।
আর জীবনের লেজ ধরে পার করতো প্রেমের বৈতরণী
পরদিন থেকে লেখা হত রোজকার প্রেমহীন নতুন জীবনী ।


কিন্তু তা হয়না কিছুতেই  ।
হৃদয় থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রেম কোথায় যায় কোথায় থাকে
বেঁচে থাকে না স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করে
কিছুই জানা যায়না । জানার উপায়ও থাকেনা ।
তাই প্রেমহীন আমরা আজীবন বসে থাকি এই ভেবে-
আসবে , অভিমানী ঘরছাড়া প্রেম আবার ফিরে আসবে ।


               সাবধানে থাকিস  
...................................................
তোর ভালবাসার পরীক্ষাতে আমি শূন্যে পেয়েছি দশ
তোর বাঁকা ঠোঁটের মায়াবি হাসিতে খুঁজেছি অমৃত রস ।
বৈশাখের তপ্তদিনে জিরিয়ে নিয়েছি তোর মরা গাছের তলে
ঝড়ের বেলায় জীবন বাঁচিয়েছি তোর ঝরা পালক ঢেকে
শীতে গা গরম করেছি তোর আগুন কথা শুনে
ফাগুনেতে ফুল কুড়িয়েছি তোর ফুলদানীটির তলে।


অনেক হল। আর নয় ।
আমি এখন ঘুমোতে চললাম মারিয়ানা খাদে
তুমি হিমালয় থেকে দেখতে যেওনা পা পিছলাতে পারে।