কোনো রূপালী পর্দায় বেঁধে রাখা এ জীবন,
আর ক্ষয়ে যাওয়া ফ্রেমে,
বেঁধে রাখা এক চিত্রের,
তীলে তীলে মরণ।
ভেঙে যাওয়া সমাজের,
টুকরো হয়ে যাওয়া প্রতিশ্রুতিতে,
আসছে আবারো ভয়ের সভা।
ঘৃণায় জড়ো হওয়া,
কতো বিষাদভরা ইতিহাস!
সে ইতিহাসের পাতায় রক্তলাল জবা,
আর সোনালি আশের বুকে আগুনের আভা,
জ্বলছে জ্বলবে, হারিয়ে যাবে অস্তিত্ব,
কেড়ে নেবে সব, রূপালী পর্দার কৃতিত্ব।
কণ্ঠরোধ হবে কিছু বজ্র-নিনাদ ধ্বনি।
লাল-সবুজের বাগানে খোদাই হচ্ছে শনি।


চেতনার আড়ালে জ্বেলে রাখা মশাল,
ঘৃণায় নিভু নিভু করে,
জ্বল জ্বল করে ওঠে,
ক্ষুধার্ত রাক্ষসের চোখ,
আর লক লক করে ওঠা,
তাদের কাটাতারের জিভ যেন,
সবকিছু গ্রাস করবে,
সবকিছু রাহুগ্রস্ত করবে,
সবকিছু ছিন্ন ভিন্ন করবে।
হায় আল্লা, হায় ভগবান, হায় খ্রিষ্টের-সূরি,
কাদের হাতে আজ সেই চেতনার বানী!
ভেঙে-পুড়ে নষ্ট ছারখার,
সব রাষ্টের পূজারি।


বজ্রনিনাদে উল্লাস করে দৈত্য,
বজ্রকণ্ঠ-চেতনার আড়ালে চলে মেকি সত্য,
দলে দলে পয়দা হয় সব নষ্টের বৈদ্য।


আজ সেই রূপালি পর্দায় অঙ্কিত ছবি কথা বলে,
আজ সেই ক্ষয়ে যাওয়া ফ্রেম নিঃশ্বাস ফেলে।
"সুযোগ দে একবার,
জেগে উঠি আরেকবার,
কল-রেডির মাইক ধরে,
আঙুল নাড়িয়ে উৎখাত করবো,
সব ভন্ড-মেকি দৈত্যের কারবার।
ফাঁসি দেবো সব-
ঘৃণায় ডুবে যাওয়া দেশের ঐক্যকে,
বাঁচাবো নতুন করে,
রেখে যাওয়া আমার চেতনাকে।"