ঘুম নেই; রাতের ঘরে
টিকটিকির সত্য প্রলাপ
বারবার লিখছে স্মৃতির
পাতায় আবেগের কথা,
দেওয়ালে সবুজের
চলটা আজ উধাও,
কংক্রিটের তামাটে রঙ আর
পর্দার পুরনো গন্ধে ,
কেমন যেন গা গুলিয়ে ওঠে,
বিছানার টানটান চাদরে
লেগে আছে রাতের কাহিনী,
একটা উপন্যাস ডাইরির
পাতায় ভর করেছে, চরিত্র গুলো
ক্রমশ ফ্যাকাসে হয়ে চলেছে,
কলম আছে, চিন্তা আছে, আছে
ঝুড়ি ঝুড়ি শব্দ, তবু গভীরতা
মন ছুঁয়ে ডানা আর মেলে না,
এই পৃথিবীটা আমাকে চেয়েছে
বারবার; বাহুডোর তবুও পারিনি
উন্মুক্ত করতে, কোথাও যেন
শিকড় গুলো জমাট বেঁধেছে;
মস্তিষ্কের স্নায়ু গুলো মুহূর্তেই
হারিয়ে ফেলছে রাস্তা,প্রিয় বলে
অনেকদিন কেউ ডাকে না!
পৃষ্ঠা বদলাচ্ছে উত্তুরে বাতাস,
কবে যে কোন পৃষ্ঠায় থেমে ছিলাম
আজ আর মন দিয়ে ভাবা হয় না!
রাতের গঙ্গার বুকে চাঁদ আজও
ওঠে, পাল তোলা নৌকায় মাঝি
ভাইদের ভাটিয়ালী গান...
একদিন চিত্কার করে বলেছিলেম
ও মাঝি ভাই একবারটি পাড় করে
দেবে আমায়......
গঙ্গায় যে জোয়ার এসেছে;
আমার যে ডুবতে বড় স্বাদ হয়,
পৃথিবীর অতল গভীরে
কি রোমান্টিক সেই হারিয়ে যাওয়া;
বাতাসে উড়ছে আঁচল
চুলে ঢেকেছে পূর্ণিমার চাঁদ.....
পাখিদের ঘরে ফেরা,
ঘর, এ পৃথিবীটা জুড়েই তো ঘর বাঁধা
কখনো জলের সাথে কখনো আকাশের
বুকে, কখনো পাখির নীড়ে;
দৃষ্টির অতিদূরে এখনো জেগে ওঠে
ইচ্ছে পাখির মন; উপন্যাস একদিন
শেষ হবে; হয়তো চরিত্র গুলো আবারও
হয়ে উঠবে সতেজ, আবারও বেঁচে উঠবো
আমি; যেমন বেঁচে ওঠে রাত জাগা পাখি,
জীবনের অন্ধকার অনুভবে.......!!