চোখ বুঝিতে এই কি সামনে এসে পড়িলো?
অন্ধকার ময় ঢাকা এই যেন কোন গুহা,
কত শত চেষ্টার ফলে ও আসিলো নাহ সে সৌর্ন্দয্যময় ঝলকানো রং বেরং আলো।
কোথায় গেলো আমার সে প্রাসাধ____যাকে সাজানো হতো হাজারো রশ্নির আলোয়??
কোথায় সে সুরভী ভরা গন্ধ ছিড়ে আনা ফুটন্ত ফুলের!!
কোথায় সে চমক যাকে সাজানোর জন্য রোজ ছিনিয়ে আনা হতো হাজার ও সোনা,মণি-মুক্ত!!
কোথায় হারিয়ে গেলো এ আলোরণের মেলা
যার ছোয়ায় আমি মগ্ন থাকিতাম রাজ্যকুঠিরে।
আমার পায়ের শব্দে কাঁপিত অজস্র প্রজা
আজ সে পায়ে নাহি কোন শক্তির ছোয়া,
চাবুক চলিত নির্মম হাত দুখানা দিয়ে
রক্তবহিত নদীর ও জলধারার মত!!!
আজ সে হাত অবিচল হয়ে  পড়ে রইছে।
যে দেহ থাকিত মণি-মুক্তর মালায়,
পড়ে রইছে নিস্তব্ধ পাথর হয়ে।
বাতাসের মোহের মতো এক নিমিষে হারিয়ে গেল;
পালক ঝাপটাতে বদলে গেলো পুরো প্রাসাধ এর আকৃতি।
মিথ্যে এ দেহখানায় কত করে ছিলাম বড়াই,,
আজ পড়ে আছে নিস্তব্ধ হয়ে সাড়ে তিন হাত মাঠির ও তলে।