অন্ধ সে এক মেয়ে
নিজেকেই সে ঘেন্না করত
অন্য সবার চেয়ে।


ভাবত বসে যখন
অভিশপ্ত জীবন থেকে
মুক্তি পাবে কখন


তখন তাহার হাত দুটিকে ধরে
এক ছিল তার মনের মানুষ
বলত আদর করে


একদিন ঠিক দেখতে পাবে দেখো
সেদিন যেন ভুলে যেওনা
আমায় মনে রেখো।


মেয়ে বলত কেমন করে ভুলি ?
মনের ক্যানভাসে আঁকা
তোমার ছবিগুলি।


দৃষ্টি পেলে সবার আগে
তোমায় দেখতে চাই
ঘর বাঁধব তোমার সাথে
আর কোন সাধ নাই।


খবর এল এক জোড়া চোখ
কেউ করেছে দান
মেয়েটির চোখ
অস্ত্র করে হল নির্মাণ।


চক্ষু দুটি পেয়ে
নতুন চোখে
এ কি দেখলো মেয়ে ?
সামনে তার দাঁড়িয়ে আছে
দৃষ্টিহীন ও কে ?


পারবো না , পারবো না
বইতে এমন বোঝা
মুখ ঘুরিয়ে গরবিনী
বাড়ি চলল সোজা


পিছন থেকে
অস্ফুট এক শব্দ এল ভেসে
ছেলেটি বলে
ঠোঁটের কোনে মৃদু একটু হেসে


ধন্য হলাম দিয়ে
তোমায় আমার দুটো চোখ
কামনা করি মনে প্রাণে
তোমার ভালো হোক।


(ঋণ শ্রী আদিত্য সরকার )