(মধ্য ভারতের এক পাহাড় জঙ্গল ঘেরা অন্ত:পুরে সোরা জনজাতির বাস। এদের যেহেতু কোনো লিপি নেই তাই এদের সংস্কৃতি প্রায় পুরোটাই মুখের ভাষা নির্ভর। তাই এদের ভাষার কিছু অদ্ভুত বিশেষত্ব আছে। যেমন এদের ভাষায় ভাব বাচ্যের ব্যবহার নেই। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এদের ভাষায়  প্রচুর সমার্থক শব্দ বর্তমান।যখনই এরা কথার মধ্যে কোনো বিশেষ আবেগ অনুভুতি এসব প্রকাশ করতে চায় তখন পাশাপাশি অনেক সমার্থক শব্দ বসিয়ে ( কমা দেবার প্রশ্নই ওঠে না ) কথা বলে। যেমন, কাউকে কোনো বাড়িতে যেতে বারণ করার কথা জোর দিয়ে বললে , বলবে, ওই বাড়িতে ভবনে আবাসে যেওনা গমন কোরো না। এমন একটা ভাষা আমার থাকলে ....)


একদিন হাতে ছিল হাত হস্ত করতল
পাশাপাশি গায়ে গায়ে অঙ্গ সংলগ্ন
হেঁটে যাওয়া চলে যাওয়া ভেসে যাওয়া
একটুকু ছোঁয়া স্পর্শ  ছিঁটে লাগা
সেসব কথা ভুলে গেছো বিস্মৃত হয়েছো
মনন নিষ্কাশিত করেছো
সেটা খুব বড় কথা নয়
আসলে প্রকৃত পক্ষে
কাঁটা বিঁধে আছে কণ্টক বিদ্ধ আছে
বুকের মাঝে অন্দরে অভ্যন্তরে
এখনো সমকালে বর্তমানে এযাবত
রক্ত  রুধির শোণিত ফোঁটায় ফোঁটায়
ঝরে ঝরে যায়
সময় নদীর স্রোতের প্রায় বহে যায়
তবু সে ব্যার্থ অসফল অসহায় অকেজো
সেসব পুরোনো ব্যাথা যন্ত্রণা কষ্ট
স্রোতের ধারায়
ধুয়ে মুছে  মুক্ত সাফ সুতোরো
করতে পারেনা
হায় হায় হায়