একটা বটগাছ , একটা নদী আর এক রাখাল
এরা যদি বন্ধু হয়ে যায়
তবে প্রথম প্রশ্নটাই উঠবে
কে কাকে বেশী ভালোবাসে।
চঞ্চল নদী বলবেই,
রাখাল আমাকে বেশি  ভালোবাসে।
সে আমার বুকে ভেসে বেড়ায়
আমাকে প্রাণ ভরে পান করে
আমাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দেয়।
গাছের যেহেতু এ উত্তর জানা
তাই সে নীরব থাকে ।
আর গোপনে, মাটির গভীরে
ছড়িয়ে দেয় শিকড়।
নদীর অজান্তে নদীর জল সিঞ্চন করে
ছড়িয়ে দেয় তার শিরা উপশিরার গভীর অন্তঃপুরে।
গাছের বড় মায়া !
সে জানে নদী বড় উদাসীন,চঞ্চল  
উন্মুখ হয়ে থাকে ভিটে মাটি খাবে বলে
বড় যত্নে তাকে সামলে রাখে গাছ।
সে জানে রাখাল রোদে রোদে ঘুরে বড় ক্লান্ত।
রাখালের মাথা নিজের কোলে রেখে
গাছ তাকে বাতাস করে, ঘুম পাড়ায়।
বড় গভীর ভালোবাসা গাছের।
নিজস্ব বাঁশির সুরের মতো
গাছ আর নদীর ত্রিকোণ প্রেমের শীর্ষে
ভাসতে থাকে রাখাল।
বাঁশির সুর শুনে
গাছের পাতারা ভালোবেসে
থির থির করে কাঁপে
নদীর জলে প্রতিফলিত হয়
ভালোবাসার অসংখ্য সূর্য
তবে কাকে বেশি ভালোবাসে রাখাল ?
উত্তর খুঁজে ফেরে নিরবধি কাল।
একপাশে নদী, একপাশে গাছ
তারা শুধু ভালোবাসে চিরকাল।