কি করে যুধিষ্ঠির বললেন,
যার কোনো ঋণ নেই, সেই সব চেয়ে সুখী ?
আইনস্টাইন তো জুতো জামা থেকে
খাওয়া পরার মতো সব কিছুর জন্য
ঋণ স্বীকার করে গেছেন !
আাইনস্টাইনের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম
পিতৃ ঋণ, মাতৃ ঋণ ?
এসব কখনো শোধ হয় ?
সে যাই হোক
এমন হয়তো অনেক কিছুই আছে যা না থাকলে
মানূষ খুব সুখী হোতো।
তবে প্রতিবিম্বের কথা না বললেই নয়।
যুধিষ্ঠির কি করে সে কথা ভুলে গেলেন?
দাঁড়িয়ে ছিলেন তো জলাশয়ের ধারে
দেখেননি কি জলের ওপর
নিজের কম্পিত ছায়া ?
আয়নার  মতো প্রতারক কেউ আছে ?
হয়তো রাতে মধুর কোনো স্বপ্ন দেখে
সকালে দাঁত মাজতে মাজতে
আয়নার  সামনে দাঁড়ালেন,
অমনি সে হারামজাদা বলে উঠবে,
তোমার চোখে  কালি কেন ভাই ?
নিশ্চয় কাল রাতে ভালো করে ঘুমোয়নি ?
তবে কি কাল কোনো দুঃস্বপ্ন  দেখেছিলে ?
পৃথিবী থেকে সব আয়না ধ্বংস করে দিলেও
যা  কিছু প্রতিফলক ধ্বংস করে দিলেও
জল থেকে যায়, জলই তো জীবনের ডাকনাম
অথচ জলের ধারে দাঁড়ালেও
আপনার স্থিরতাকে কম্পমান করে।
পৃথিবীর সব জল স্থির হয়ে গেলেও
জলের বুকে ডুবে থাকা গুল্মলতা
আপনার প্রতিবিম্বকে খানিকটা ঠুকরে দেবে।
যদি পৃথিবী থেকে সব জল
এক গন্ডুষে পান করে নেয় কোনো অগস্ত্য মুণি
তাহলেও আপনার নিকটতম মানুষের চোখে
আপনার প্রতিবিম্ব দেখা যাবে।
হয়তো সেখানে আপনার বিশ্বাসঘাতক মুখের
বদলে দেখা যাবে ভালোবাসার  ছায়া,
অথবা অন্য কিছু!
তবে কি নিকটতম মানুষকেও ... ?
আচ্ছা এত কিছু ধ্বংস করে
নিজের ছায়াকে ধ্বংস করা যায় ?
তাই যতদিন মানুষ নিজেকে দেখতে পাবে
ততদিন চিরসুখ অধরাই থেকে যাবেনা কি ?
বেচারা যুধিষ্ঠির !
বকধার্মিকের প্রবঞ্চনাটা ধরতেই পারেননি।