রতনলালের মেয়ে


রতনলাল রোজ চারটে কচুরি ও
শুকনো নিতম্ব ঢাকা বাসি প্যান্টে
হাত মোছা সারা হলে,
অপেক্ষা ,
গাড়ির দরজা খুলে সেলাম,
সূর্যপ্রণামের মতো মনে মনে
বাবুকে একটি খিস্তি,
মুখে বিনয়ের হাসি শেষে
ইন্জিনে স্টার্ট।


চল্লিশ মিনিট ধরে
বাবুর ভাত ঘুম।


রতনলাল দরজা খুলে
মনে মনে দ্বিতীয় রাউন্ড খিস্তি
মুখে অমায়িক দেঁতো হাসি


স্যার আমার মেয়েটাকে একটু দেখবেন
গ্র্যাজুয়েট , কম্পুটার জানে


রতনের মেয়ে কি জানে
স্নাতকোত্তর বিস্তীর্ণ এক পটভূমিতে
বিধাতার এক আশ্চর্য চিত্রনাট্যয়
কত শত রতনলালের মেয়ে
ক্রমাগত এক নেপথ্য নায়িকার ভূমিকায়
অবিরত অনুপস্থিতির অভিনয়
করেই চলেছে, করেই চলেছে ?


আমার এই কবিতা
তোমাকে কিই বা দিতে পারে রতনলালের মেয়ে?
তুমি গ্রাজুয়েট
তুমি কম্পিউটার জানো
এসো, আমার এই কবিতা গ্রহণ করো
নির্বাপিত করো আগুন আমার।
আমি তো পারিনা কিছুই
কিন্তু তুমি হয়তো পারো
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে
এই অশান্ত পৃথিবীকে
দুদন্ড শান্তি দিতে
নচেৎ ছিঁড়ে ফেলো যত আছে কবিতা সবার