যতবার ভেবেছি
তার নাম দেব শ্রেষ্ঠ কবিতা,
ততবারই এক অদৃশ্য সম্পাদক
আমাকে চোখ পাকিয়ে প্রশ্ন করে,
কোন কবিতাটা লিখেছো তাকে নিয়ে ?
আমি বলি, কেন ওই যে লাল শাড়ি...
কথা শেষ না হতেই প্রতিপ্রশ্ন
ধুস ওটাতো সেই শান্তিনিকেতনের
কৃষ্ণচূড়া গাছটাকে নিয়ে লেখা।
সে নিষ্ঠুর সম্পাদক আমার সব কবিতাকে
এভাবে কখনো আকাশ, কখনো সমূদ্র
কখনো প্রিয় কবি, কখনো প্রিয় গান
এদের কাছে বিলিয়ে দিতে থাকে।
আমি রিক্ত হয়ে নতজানু হয়ে বসি তার কাছে
বলি, তুমি কে বলতো ?
সে তখনই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ হয়ে যায়।
আমিও লাফিয়ে উঠে বলি,
তবে তো সেই লাল শাড়ির কবিতাটাই
কিন্তু না, ততক্ষণে সে কৃষ্ণচূড়া
ক্রমশ লম্বা হয়ে আকাশ ছুঁয়েছে
তার ডালে ডালে পাতায় পাতায় মেঘ,
একটা ডালে পা ঝুলিয়ে বাঁশি বাজায়
আমার প্রিয় এক কবি,
সে বাঁশির সুরে লাগে ঘোর
এ সুর কবিতা লেখার নেশা ধরিয়ে দেয়।
অদৃশ্য সম্পাদক বলেন,
এ বেশ ভালোই হলো
এতদিন তো দুরে ছিলে
এবার তুমি বোসো এই গাছের ছায়ায়
এবার লেখো তোমার শ্রেষ্ঠ কবিতা।